চোটে পড়ে রদ্রির মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ার খবরটির পর অনেকেই বলেছেন—তাঁর অভাবটা ম্যানচেস্টার সিটিতে পূরণ করবেন কে? প্রিমিয়ার লিগে টানা ৪ ম্যাচ জয়ের পর ম্যান সিটির টানা দুই ড্র প্রশ্নটাকে আরও জোরালো করে তুলেছে।
নিউক্যাসলের মাঠে আজ সিটির ১-১ গোলের ড্রয়ের পর প্রশ্নটা আরও বড় হয়ে সামনে এসেছে—তাহলে পার্থক্য কি গড়ে দিয়েছে রদ্রির না থাকা! আর্সেনালের বিপক্ষে আগের ম্যাচটির কথাই ধরুন। চোট পেয়ে ২১ মিনিটে মাঠ ছাড়তে হয় স্পেনের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার রদ্রিকে। এর আগে আর্লিং হলান্ডের ৯ মিনিটের গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল সিটি। কিন্তু রদ্রি মাঠ ছাড়ার পরের মিনিটেই গোল খায় তারা। এরপর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে পিছিয়ে পড়ে পেপ গার্দিওলার দল। তবে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে জন স্টোনসের গোলে ২-২ সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারে।
নিউক্যাসলের বিপক্ষে আজ রদ্রির অভাব পূরণ করছিলেন দুজন মিলে। মাতেও কোভাচিচ ও রিকো লুইস শুরু থেকে ভালোই সামলাচ্ছিলেন। নিউক্যাসলের মাঠে ইওস্কো গাভার্দিওলের গোলে এগিয়েও যায় তারা। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই মাঠ ছাড়ে সিটি।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে রদ্রির অভাবটা ঠিকই টের পেতে শুরু করে সিটি। মাঝমাঠে সেভাবে বলের দখল রাখতে পারছিল না তারা। এর সুযোগ নিয়ে বারবার আক্রমণে উঠছিল নিউক্যাসল। শেষ পর্যন্ত ৫৬ মিনিটে বল নিয়ে বক্সের মধ্যে ঢুকে যান নিউক্যাসলের গর্ডন। তাঁকে আটকাতে ফাউল করতে হয় সিটির ব্রাজিলিয়ান গোলকিপার এদেরসনকে। পেনাল্টি থেকে ৫৮ মিনিটে গোল করে নিউক্যাসলকে সমতায় ফেরান গর্ডন।
এরপর দুই দলই জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। টানা দ্বিতীয় ড্রয়ের পরও ৬ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষেই আছে সিটি। এক ম্যাচ কম খেলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে লিভারপুল। ৫ ম্যাচ খেলেই ১২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে অ্যাস্টন ভিলা। আর আর্সেনাল ৫ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে আছে চতুর্থ স্থানে।