লিওনেল মেসিকে ফেরাতে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে বার্সেলোনা। যেকোনো মূল্যে মেসিকে এখন ক্যাম্প ন্যুতে ফেরাতে চায় বার্সা। এরই মধ্যে বার্সার সাবেক কোচ, কর্তৃপক্ষ, সাবেক খেলোয়াড় এবং সমর্থকেরা নিজ নিজ জায়গা থেকে মেসিকে বার্সায় ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। বিশেষ করে বার্সার কোচ জাভি হার্নান্দেজ ও ক্লাবের সহসভাপতি রাফা ইয়সতের মন্তব্যের পর থেকে মেসির বার্সায় ফেরার সম্ভাবনার পালে বাড়তি হাওয়া লাগে।
মেসির বার্সায় ফেরা নিয়ে আলোচনা যখন তুঙ্গে, তখন স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘স্পোর্ত’ এক খবরে জানায়, দুই সাবেক সতীর্থ ও বন্ধু মেসি এবং জাভি প্রায়ই ফোনে কথা বলেন। যেখানে জাভির অধীনে মেসির খেলার সম্ভাবনা নিয়েও তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে।
তবে স্প্যানিশ এক পত্রিকার বরাত দিয়ে আরেক সংবাদমাধ্যম ‘ফুটবল স্পানা’ জানিয়েছে, মেসি এবং জাভির মধ্যে মেসির বার্সেলোনা ফেরা নিয়ে কোনো কথা হয়নি। পত্রিকাটি লিখেছে, মেসির এক ঘনিষ্ঠ সূত্রের সঙ্গে কথা বলেই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, জাভির সঙ্গে বার্সায় খেলোয়াড় হিসেবে ফেরার বিষয়ে কোনো ধরনের আলাপ হওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন মেসি নিজেই।
এর আগে মেসির বার্সায় ফেরা নিয়ে কথা বলেছিলেন জাভি। সে সময় বার্সা কোচ বলেছিলেন, ‘ফিরে আসার জন্য তাকে সবার আগে আমিই উৎসাহিত করব। যে পরিচয়েই হোক, আমি মেসিকে বার্সায় দেখার আশা করি। সে ফিরলে সবার আগে খুশি হব আমি। এটা (বার্সা) তার জীবনের ক্লাব, আর সে ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়।’
মেসির বার্সায় ফেরা নিয়ে ক্লাবের সহসভাপতি ইয়সতে বলেছিলেন, ‘তার ফিরে আসাটা ভালো লাগবে। আমরা তাদের (পিএসজি) সঙ্গে কথা চালিয়ে যাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, এ মৌসুম শেষেই পিএসজির সঙ্গে চুক্তি শেষ হবে মেসির। শুরুতে চুক্তি নবায়ন নিয়ে ইতিবাচক আলাপ শোনা গেলেও পরে বেতন ও চুক্তির মেয়াদ নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় থমকে যায় পুরো প্রক্রিয়া। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে তখনই মেসিকে পাওয়ার দৌড়ে নামে সৌদি ক্লাব আল–হিলাল ও এমএলএসের ক্লাব ইন্টার মায়ামি। এরপর মেসিকে ফিরিয়ে নেওয়ার দৌড়ে নামে বার্সেলোনাও।