২০১০ সালের কথা, পর্তুগিজ কোচ জোসে মরিনিওর তখন দারুণ সময় কাটছে। সেই সময় ২০০৯-১০ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে চারবার মুখোমুখি হয়েছিল বার্সেলোনা-ইন্টার মিলান। গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচের প্রথমটিতে গোলশূন্য ড্র করে দুই দল। দ্বিতীয় ম্যাচে জেরার্দ পিকে ও পেদ্রোর গোলে ২-০ ব্যবধানে জেতে বার্সেলোনা। প্রথম ম্যাচটিতে খেললেও দ্বিতীয় ম্যাচে খেলেননি লিওনেল মেসি।
এরপর এ দুটি দল মুখোমুখি হয় সেবারের সেমিফাইনালে। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ের দুই লেগের দুই ম্যাচে ইন্টার মিলানের কোচ মরিনিও বার্সাকে হারাতে কয়েক রকমের পরিকল্পনা সাজিয়ে রাখেন। তাঁর সব পরিকল্পনারই একটি সাধারণ বিষয় ছিল—মেসিকে বন্দী করে রাখো! আর্জেন্টাইন তারকার কাছে যেন বল না পৌঁছায়, আর কোনোভাবে তিনি বল যদি পেয়েই যান, তাহলে যেন সেটি কাউকে না দিতে পারেন!
মরিনিওর এই পরিকল্পনার ফল কী হয়েছিল, তা সবারই জানা। প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে বার্সেলোনাকে ৩-১ গোলে হারায় ইন্টার। দ্বিতীয় লেগে ক্যাম্প ন্যুয়ে জেরার্দ পিকের একমাত্র গোলে ১-০–তে জেতে বার্সা। ওই দুই ম্যাচের একটিতেও মেসি তেমন কিছু করতে পারনেনি।
মেসিকে আটকে রাখার সেই কৌশল নিয়ে সম্প্রতি মরিনিও কথা বলেছেন। তাঁর ব্যাখ্যাটা এ রকম, ‘অনেক পরিকল্পনার সম্মিলন ছিল। কিন্তু সবগুলোরই মূলে ছিল মেসিকে খেলতে না দেওয়া। ইতালিতে শব্দটা—গাব্বিয়া। আমার মনে হয়, এর প্রকৃত অর্থ এ রকম হবে—মেসিকে বন্দী করে রাখো!’
মরিনিও এরপর যোগ করেন, ‘শেষ পর্যন্ত আমরা সব খেলোয়াড়কে মার্কিং করে খেলিনি। কিন্তু জানেত্তি, মোত্তা, কাম্বিয়াসো—সবারই দায়িত্ব ছিল মেসি যে জায়গাতেই থাকুক, সেখানে তাদের থাকতে হবে।’
মরিনিওর এই কৌশল কতটা কাজে লেগেছিল, সেটা তো ম্যাচের ফল আর সেই ম্যাচে মেসির নিষ্প্রভ হয়ে থাকাই প্রমাণ করে। সেবার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে ২-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছিল মরিনিওর ইন্টার মিলান।