তাহলে সেই গুঞ্জনটাই সত্য! ফরাসি পত্রিকা লে’কিপ জানিয়েছিল, মোনাকো ম্যাচের পর ক্লাবের ক্রীড়া উপদেষ্টা লুইস কাম্পোসের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে দুই ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার ও মার্কিনিওসের। গুঞ্জনটা যে সত্য, তা নেইমার নিজেই স্বীকার করেছেন।
ড্রেসিংরুমে লুইস কাম্পোসের সঙ্গে কোনো একটা বিষয় নিয়ে তর্ক হয়েছিল তাঁদের। তবে এই ব্রাজিলিয়ান তারকার দাবি, সেই তর্ক ফুটবলারদের ভালোর জন্যই হয়েছে। সে সঙ্গে এই সম্পর্ককে তিনি তুলনা করেছেন প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্কের মতো।
শনিবার রাতে লিগের ম্যাচে মোনাকোর সঙ্গে পাত্তাই পায়নি মেসি-এমবাপ্পেহীন পিএসজি। একাদশে নেইমার থাকতেও হারতে হয় পিএসজিকে। নেইমারকেও ম্যাচে খুঁজে পাওয়া যায়নি খুব একটা। এর আগের ম্যাচে মার্শেইয়ের বিপক্ষে হারের পর আবার মোনাকোর বিপক্ষেই হার, বায়ার্ন ম্যাচের আগে দলের এই ছন্দহীনতা মানতে পারেননি ক্রীড়া উপদেষ্টা লুইস কাম্পোস।
তাই ম্যাচ শেষে পিএসজির ড্রেসিংরুমে কাম্পোস খেলোয়াড়দের নিবেদন ও আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তবে তাঁর এই অভিযোগ খেলোয়াড়দের একেবারেই পছন্দ হয়নি। আসলে এই কারণে পিএসজি হারেনি, সেটা কাম্পোসকে বোঝানোর চেষ্টা করেন খেলোয়াড়েরা। সে সময় নেইমার আর মার্কিনিওস নাকি লুইস কাম্পোস সঙ্গে কথা-কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন, এমনটাই লিখেছিল লে’কিপ।
ড্রেসিংরুমের অস্থিরতা স্বীকার করে নেইমার বলেছেন, ‘একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। আমরা সে বিষয়ে একমত ছিলাম না। এটাও ফুটবলের অংশ। প্রতিদিনই এমন কিছু না কিছু ঘটে। আমি এ বিষয়গুলোকে পছন্দ করি। এটা অনেকটা প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্কের মতো। ফুটবলে শুধু ভালোবাসা আর বন্ধুত্বই থাকে না। এখানে কিছু বিষয় নিয়ে মতের অমিল থাকবে, সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। মাঝেমধ্যে ফুটবলারদের উন্নতির জন্য এটা দরকার পড়ে।’
তবে ড্রেসিংরুমের খবর বাইরে আসায় খেপেছেন নেইমার। ব্রাজিলিয়ান এই তারকার মতে ড্রেসিংরুমের যেসব খবর সংবাদমাধ্যমে আসে, তার অনেক কিছুই মিথ্যা, ‘ড্রেসিংরুমের যেসব খবর সংবাদমাধ্যমে আসে, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যায়, তার অনেক খবরই মিথ্যা। মৌসুমের গুরুত্বপূর্ণ সময়েই গুঞ্জনগুলো শোনা যায়। আমাদের এই বিষয়ে নজর দিতে হবে। এই ঘটনা সংবাদমাধ্যমে আসা ঠিক নয়, এটা নিজেদের মধ্যেই থাকা উচিত ছিল। কারণ, আমাদের একসঙ্গেই চলতে হবে। এ ধরনের সংবাদ ড্রেসিংরুমের বাইরে গেলে আমরা ক্ষেপে যাই। আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, সংবাদমাধ্যমে ড্রেসিংরুমের যেসব খবর আসে, তার অনেক কিছুই মিথ্যা, খুব অল্পই সত্য হয়।’