ম্যানচেস্টার সিটির বিরুদ্ধে উঠেছে আর্থিক অনিয়মের এক শ’র বেশি অভিযোগ। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কী হতে পারে প্রিমিয়ার লিগের এই ক্লাবটির, ফুটবলে চলছে এই আলোচনা। ইংলিশ ফুটবল ও ফৌজদারি আইনের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আর্থিক জরিমানা, পয়েন্ট কাটা, নিষেধাজ্ঞা, অভিযোগ প্রমাণ সাপেক্ষে কমিশন যেকোনো শাস্তিই দিতে পারে ম্যানচেস্টার সিটিকে।
এমনকি এ সময় জেতা সিটির সব ট্রফি কেড়ে নেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা অবশ্য অন্যের কথাতে খুব একটা কান দিচ্ছেন না। বিচারের রায় যা–ই আসুক না কেন, এই কোচের দাবি, তাতে সিটির এত দিনের অর্জন একটুও মুছে যাবে না। সিটির সর্বোচ্চ শাস্তি চাওয়া ক্লাবগুলোকেও ধুয়ে দিয়েছেন গার্দিওলা।
আর্থিক অনিয়মের কারণে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিটিকে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে উয়েফা। যদিও ২০২০ সালের শেষ দিকে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত সিটির বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সঠিক নয় রায় দিয়ে উয়েফার সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেয়। সে সময় সর্বোচ্চ ক্রীড়া আদালতে (কোর্ট অব আর্বিট্রেশন ফর স্পোর্টস) সিটির শাস্তি চেয়ে চিঠি দেয় প্রিমিয়ার লিগের ৯টি ক্লাব।
এবারও সিটির বিপক্ষে অভিযোগ ওঠার পরও তারা সিটির সর্বোচ্চ শাস্তিই চায়। গার্দিওলা সেই ৯ ক্লাবের প্রতি সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ ঝেড়েছেন, ‘যখন একটা দল জিততে থাকবে, তাদের অন্য দল হারাতে চাইবে। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু ওই ৯টি ক্লাব যা করেছিল, তা আমি ভুলব না। তারা টাকার জন্য চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে চায়, যাতে স্টেডিয়াম তৈরির খরচ তারা দিতে পারে।’
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা অনেকটা নিজেদের সম্পদেই পরিণত করেছে গার্দিওলার সিটি। গত পাঁচ মৌসুমে তারা লিগ শিরোপা জিতেছে চারবার। চলতি মৌসুমে তারা আছে টেবিলের ২ নম্বরে। শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে এখনো বেশ ভালোভাবেই আছে গার্দিওলার দল। শিরোপ কেড়ে নেওয়ার প্রসঙ্গে গার্দিওলা বলেছেন, ‘ওই মুহূর্তগুলো আমাদের ছিল। মারিও বালোতেল্লি যখন পিছলে পড়েছিল, আগুয়েরো যে গোলটা করল। অ্যানফিল্ডে যখন জেরার্ড পিছলে পড়ে গিয়েছিল সেটা নিশ্চয়ই আমাদের দোষ ছিল না। জেরার্ডকে আমি সম্মান করি, তবে ওই মুহূর্তটা আমাদের ছিল। আমাদের অর্জন কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। কী হবে তার সিদ্ধান্ত প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ নেবে। ২০০৯-১০ সালে কী হয়েছে, আমি ঠিক জানিও না ঠিক কত আগে এটা হয়েছে। বিচারের রায় যা–ই আসুক না কেন, এত সব অর্জন আমাদেরই থাকবে। এক মুহূর্তে পরিবর্তন হয়ে যাবে না।’