আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সের্হিও রামোস
আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সের্হিও রামোস

স্পেন কোচকে ধুয়ে দিয়ে বিদায় বললেন রামোস

আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিলেন সের্হিও রামোস। স্পেনের নতুন কোচ লুইস দি লা ফুয়েন্তে তাঁর ওপর আর ভরসা রাখছেন না, এমন কারণ দেখিয়ে আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন পিএসজির ডিফেন্ডার।

স্পেনের হয়ে ২০১০ বিশ্বকাপ, ২০০৮ ও ২০১২ সালের ইউরো জেতা রামোস সর্বশেষ দেশের জার্সিতে খেলেছেন ২০২১ সালের মার্চে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় রামোস জানিয়েছেন, কোচের সঙ্গে কথা বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

রামোস লিখেছেন, ‘সময়টা এসে গেছে জাতীয় দলকে বিদায় বলার, আমাদের প্রিয় ও রোমাঞ্চকর রোহা (স্পেন জাতীয় দলের ডাকনাম) ছাড়ার সময় এসে গেছে।’

বিদায়টা যে সুখকর হচ্ছে না, রামোস নিজেই জানিয়েছেন সেটি, ‘এখনকার কোচের কাছ থেকে আজ সকালে আমি একটা কল পেয়েছি। তিনি বলেছেন, আমি নিজের যে সামর্থ্যই দেখাই বা যেভাবেই ক্যারিয়ার চালিয়ে নিই না কেন, তিনি আমার ওপর আর ভরসা রাখছেন না। সামনেও রাখবেন না। অনেক দুঃখের সঙ্গে এ ভ্রমণটা শেষ হচ্ছে। যেটি আরও দীর্ঘ ও বিদায়টা আরেকটু মধুর, আমাদের রোহার সাফল্যের শিখরে হবে বলে আশা করেছিলাম।’

স্পেনের হয়ে রেকর্ড ১৮০ ম্যাচ খেলেছেন রামোস। সর্বশেষ কাতার বিশ্বকাপে তখনকার কোচ লুইস এনরিকেও দলে রাখেননি রামোসকে। বিশ্বকাপের পর দি লা ফুয়েন্তে স্পেনের নতুন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন।

ফুটবল সব সময় ন্যায্য নয়, ফুটবল কখনোই শুধু ফুটবল নয়।
সের্হিও রামোস

সামনে নরওয়ে ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ইউরো ২০২৪-এর বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলবে স্পেন।

নিজের বিদায় নিয়ে আক্ষেপের কথা সরাসরিই জানিয়েছেন রামোস, ‘আমি বিনীতভাবে বিশ্বাস করি, আমার এ ক্যারিয়ারের শেষটা হওয়া উচিত ছিল ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে। অথবা আমার পারফরম্যান্স জাতীয় দলের মানের নয়, এমন কারণে। কিন্তু এটি আমার বয়স বা এমন কারণে শেষ হবে, সেটা ভাবিনি। তাদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে কিছু শুনিনি, তবে আমার মনে হয়েছে এমনই।’

মেসিদের মতো বিদায় হবে না, এমন আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন রামোস

রামোস আরও লিখেছেন, ‘তরুণ বা কম তরুণ হওয়া কোনোভাবেই গুণ বা ত্রুটি নয়। এটা শুধু ক্ষণস্থায়ী একটি বৈশিষ্ট্য, যেটির সঙ্গে পারফরম্যান্স বা সামর্থ্যের সম্পর্ক থাকতেই হবে, এমন কোনো ব্যাপার নেই। আমি মদরিচ, মেসি, পেপে—তাদের প্রশংসা করি, ঈর্ষা করি। ফুটবলের এই ঐতিহ্য, মূল্যবোধ, যোগ্যতা ও সুবিচার দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমার ক্ষেত্রে এমন হবে না। কারণ, ফুটবল সব সময় ন্যায্য নয়, ফুটবল কখনোই শুধু ফুটবল নয়।’