ফ্রান্সের হয়ে গোল করার পর এমবাপ্পে
ফ্রান্সের হয়ে গোল করার পর এমবাপ্পে

ফ্রান্স দলে বেশি স্বাধীনতা পান এমবাপ্পে!

পিএসজিতে কি সত্যিই ভালো নেই কিলিয়ান এমবাপ্পে? মৌসুমের শুরুতে পেনাল্টি নিয়ে তাঁর সঙ্গে নেইমারের ঝামেলা ছিল প্রকাশ্য। এমবাপ্পের নতুন চুক্তির সময় একটি বিষয় খুব আলোচিত ছিল ফুটবল–বিশ্বে—ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাঁকে অনেক ক্ষমতা দিয়েছে।

এখন আবার শোনা যাচ্ছে—সেই প্রতিশ্রুতিও ঠিকঠাকভাবে রাখছে না পিএসজি। তারপরও পিএসজি কোচ আর স্পোর্টিং ডিরেক্টর বলেছেন, পার্ক দ্য প্রিন্সেসে এমবাপ্পে ভালোই আছেন। নেইমারসহ সবার সঙ্গে সম্পর্কও ভালো।

পারফরম্যান্স বিবেচনা করলে ভালো থাকারই কথা এমবাপ্পের। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত খেলা ৯ ম্যাচে করেছেন ১০ গোল। লিগ আর ইউরোপিয়ান মঞ্চে দলের অবস্থানও স্বস্তিদায়ক।

ফ্রান্স দলে জিরু–এমবাপ্পে জুটি

কিন্তু ফ্রান্স জাতীয় দলে খেলতে গিয়ে এমবাপ্পে যা বললেন, সেটার মর্ম উদ্ধার করতে গিয়ে যে কেউই হয়তো বলবেন—পিএসজিতে আসলে স্বস্তিতে নেই এমবাপ্পে। আকারে-ইঙ্গিতে নয়, স্পষ্ট ভাষায়ই বলেছেন, ক্লাবের তুলনায় জাতীয় দলে তিনি বেশি স্বাধীনতা নিয়ে খেলতে পারেন।

বুধবার রাতে উয়েফা নেশনস লিগে অস্ট্রিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্স। প্যারিসের স্তাদ দি ফ্রান্সের ম্যাচটিতে ২-০ ব্যবধানে জিতেছেন এমবাপ্পেরা। অলিভিয়ের জিরুর পাস থেকে দলের প্রথম গোলটি করেন এমবাপ্পে।

ফ্রান্সের আক্রমণভাগে এমবাপ্পের সঙ্গে ভালো বোঝাপড়া দেখা গেছে আঁতোয়ান গ্রিজমানের সঙ্গেও। ম্যাচের পর ২২ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডকে জিজ্ঞেস করা হয়, অন্যান্য দিনের তুলনায় এই ম্যাচে একটু বেশিই স্বাধীনতা নিয়ে খেলেছেন কি না।

পিএসজিতে নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পে

কোনো রাখঢাক না রেখেই জবাবে ক্লাব ও জাতীয় দলে নিজের অবস্থানের তুলনা টানেন এমবাপ্পে, ‘(সেখানে) আমি ভিন্নভাবে খেলি। ক্লাবের তুলনায় জাতীয় দলে আমাকে ভিন্নভাবে খেলতে বলা হয়। এখানে আমি প্রচুর স্বাধীনতা পাই। কোচও জানেন, এখানে নাম্বার নাইন হিসেবে জিরুর মতো একজন আছে। যে কিনা রক্ষণের দিকটা দখলে রাখে আর আমি আশপাশে ঘুরে জায়গামতো চলে যেতে পারি।’

পিএসজির ম্যাচে তাঁকে যে শুধু গোল করার কাজই করতে হয়, তা নয়। প্যারিসের দলটির হয়ে খেলার সময় তাঁকে কখনো কখনো রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডারের ভূমিকাও নিতে হয় বলে উল্লেখ করেছেন এমবাপ্পে।

তখন তাঁর কাজটা হয় আক্রমণভাগের সঙ্গে রক্ষণ তথা মাঝমাঠের যোগসূত্র করে দেওয়া, ‘প্যারিসে ব্যাপারটা ভিন্ন। সেখানে আমাকে পিভোটের (রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে আক্রমণভাগের সঙ্গে যিনি রক্ষণ ও মাঝমাঠের যোগসূত্র করে দেন) দায়িত্ব পালন করতে হয়। কিন্তু এখানে ভিন্ন।’

এমবাপ্পের মুখে এভাবে পিএসজি-ফ্রান্স তুলনা শুনতে শুনতে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, জাতীয় দলেই কি তবে বেশি মজা পান? এ যাত্রায় অবশ্য কূটনৈতিক ভাষায় চলে যান এমবাপ্পে। হাসতে হাসতে বলেছেন, ‘আমি সব জায়গাতেই মজা পাই।’