ট্রফিতে চোখ রেখে ইউরো খেলতে এসেছে ফ্রান্স, কিন্তু গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে দলের একজন খেলোয়াড়ও গোল করতে পারেননি। নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করার আগে ফ্রান্স অস্ট্রিয়াকে ১–০ ব্যবধানে হারিয়েছিল বটে, তবে সেটি ছিল আত্মঘাতী গোলে। আগামীকাল গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পোল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ফ্রান্স। এই ম্যাচের আগে নাকের চোট নিয়ে মাঠের বাইরে থাকা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে পাওয়ার অপেক্ষায় দিদিয়ের দেশমের দল।
অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে নাক ভেঙেছিল এমবাপ্পের। এরপর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলতে পারেননি। তবে নাকে মাস্ক পরে আগামীকালের ম্যাচে দেখা যেতে পারে তাঁকে।
এমনিতে পোল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি বাঁচা–মরার নয়। ‘ডি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে পোল্যান্ডের। দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট তোলা ফ্রান্স হারলেও শেষ ষোলোয় উঠে যাওয়ার সুযোগ আছে। সে ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অস্ট্রিয়া (৩ পয়েন্ট) না জিতলেই চলবে, অথবা ড্র করলেও সেটা যেন গোল ব্যবধানে ফ্রান্সকে না পিছিয়ে দেয়। আপাতত দুই দলেরই গোল ব্যবধান ১ করে।
পোল্যান্ড ম্যাচের ফল নিয়ে খুব একটা ভাবনা না থাকলেও ফরোয়ার্ডদের গোলখরা নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে ফ্রান্সের। এমবাপ্পের বদলে ডাচদের বিপক্ষে আক্রমণভাগের নেতৃত্বে ছিলেন মার্কাস থুরাম, যিনি ফ্রান্সের হয়ে এখন পর্যন্ত ২২ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন মাত্র দুটি। অনেক দিন ধরে মাঝমাঠের দিকে খেলা আঁতোয়ান গ্রিজমানও সর্বশেষ ৩০ ম্যাচে করেছেন ২ গোল। আর গত তিন বছরের মধ্যে উসমান দেম্বেলের গোল মোটে একটি। অন্যদের মধ্যে কিংসলি কোমান এখনো ফিটনেস ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে, আর রান্দাল কোলো মুয়ানিও ঠিক ছন্দে নেই।
এমন পরিস্থিতিতে সর্বশেষ ১৪ ম্যাচে ১১ গোল করা এমবাপ্পেকেই বেশি দরকার ফ্রান্সের। ২৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড নিজেও যে মাঠে ফিরতে উন্মুখ, সেটা উঠে এসেছে মিডফিল্ডার অঁরেলিয়ে চুয়ামেনির কণ্ঠেও, ‘আমার মনে হয়, সবাই জানে এমবাপ্পে পরের ম্যাচে মাঠে ফিরতে উন্মুখ হয়ে আছে। সে মাঠে ফিরলে বিস্ময়ের কিছু নেই। আমরা জানি, যখন সে মাঠে ফিরবে, দলের জন্য ভালো কিছুই নিয়ে আসবে।’