সুযোগটা এসেছিল উগো লরিসের সামনে। কিন্তু লরিস পারেননি প্রথম অধিনায়ক হিসেবে দুটি বিশ্বকাপ জেতার রেকর্ড গড়তে। সেই আক্ষেপ নিয়েই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানাতে হলো ৩৬ বছর বয়সী টটেনহাম গোলরক্ষককে।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম লেকিপকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। সেখানে লরিস বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, আমি সবটা দিয়ে ফেলেছি। তাই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বিশ্বকাপ ফাইনাল হারার প্রায় তিন সপ্তাহ পর অবসরে গেলেন ফ্রান্স অধিনায়ক। সামনেই ২০২৪ ইউরোর বাছাইপর্ব শুরু হতে যাচ্ছে। ফ্রান্সের পরিকল্পনা সেই ইউরোকে ঘিরেই। এরই মধ্যে দিদিয়ের দেশমের সঙ্গে নতুন চুক্তিও সম্পন্ন হয়ে গেছে। পুরোনো কোচের সঙ্গে নতুন ‘প্রকল্প’ শুরু করার আগেই ফ্রান্সের জার্সি তুলে রাখছেন লরিস।
এই গোলরক্ষকের মতে বিদায় বলার এটাই ঠিক সময়, ‘ইউরোর বাছাইপর্ব শুরু হবে আড়াই মাস পরই, তাই এখনই অবসরে যাওয়ার সেরা সময়। আর একটা সময় তো আসেই, যখন বিদায় বলতে হয়। আর আমি সব সময়ই বলি, ফ্রান্স ফুটবল দল নির্দিষ্ট কোনো ফুটবলারের ওপর নির্ভরশীল নয়।’
ফ্রান্সের জার্সিতে লরিসের অভিষেক ২০০৮ সালে, উরুগুয়ের বিপক্ষে। খেলেছেন ১৪৫ ম্যাচ, যার শেষটা কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। ফরাসিদের নেতৃত্ব দিয়েছেন ১২১টি ম্যাচে। অধিনায়ক ও ফুটবলার হিসেবে সেরা অর্জন ২০১৮ বিশ্বকাপ জেতা।
এই মুহূর্তে পরিবারকে আরও বেশি সময় দিতে চান লরিস। আরও কিছু বছর সর্বোচ্চ স্তরের ক্লাব ফুটবল খেলে যেতে চাওয়া এই ফুটবলারের জায়গা ফ্রান্স দলে কে নিতে পারেন সেটাও বলেছেন এই গোলরক্ষক, ‘১৪টির বেশি মৌসুম ফ্রান্সের হয়ে খেলেছি, এটা অনেক বড় বিষয়। আমি মানসিকভাবে কিছুটা ক্লান্তও। এসি মিলানের গোলরক্ষক মাইক মাইগনান খেলার জন্য প্রস্তুত। আমার পরিবারকে আরও বেশি সময় দেওয়া প্রয়োজন। তবে আশা করছি, সর্বোচ্চ স্তরের ক্লাব ফুটবল আরও কিছু বছর খেলতে পারব।’