মাঠে খেলার গতিপ্রকৃতি বোঝা আর ম্যাচ কোন দিকে যাচ্ছে সেটা বুঝতে পারা এবং সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া—১৭ বছর বয়সেই এসব কিছুতে দারুণ পরিণত এস্তেভাও উইলিয়ান। এর সঙ্গে অসাধারণ ড্রিবলিংয়ের সহজাত সামর্থ্যের কারণে অনেকেই তাঁকে ডাকেন মেসিনিও বলে, যেটার বাংলা করলে দাঁড়ায় ছোট মেসি।
তা ব্রাজিলের এই ছোট মেসিকে অবশেষে জাতীয় দলে ডাকলেন কোচ দরিভাল জুনিয়র। ২০২৬ বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বের পরের দুটি ম্যাচের জন্য ২৩ সদস্যের ব্রাজিল দলে আছেন ছোট মেসি।
ব্রাজিল ম্যাচ দুটি খেলবে ইকুয়েডর ও প্যারাগুয়ের বিপক্ষে। ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচ কুরিতিবায় খেলবে ৬ সেপ্টেম্বর এবং চার দিন পর পরের ম্যাচ প্যারাগুয়ের আসুনসিওনে। ম্যাচ দুটি ব্রাজিলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ৬ ম্যাচ শেষে মাত্র দুটি জয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ষষ্ঠ স্থানে আছে তারা। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে পরের বিশ্বকাপে সরাসরি ৬টি দলই খেলবে। সপ্তম স্থানে থাকা দলটিকে বিশ্বকাপের মূলপর্বে যেতে হবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফ খেলে।
এস্তেভাও ছাড়াও দলে ডাক পেয়েছেন ফ্ল্যামেঙ্গোর শীর্ষ গোলদাতা পেদ্রো। এ ছাড়া দলে ফিরেছেন ম্যানচেস্টার সিটির গোলকিপার এদেরসন। চোটের কারণে তিনি খেলতে পারেননি ২০২৪ সালের কোপা আমেরিকায়।
গোলকিপার: আলিসন (লিভারপুল, বেন্তো (আল নাসর), এদেরসন (ম্যান সিটি)।
রক্ষণভাগ: দানিলো (জুভেন্টাস), ইয়ান কুতো (বরুসিয়া), গিলের্মো আরানা (আতলেতিকো মিনেইরো), ওয়েন্ডেল (পোর্তো), বেরালদো (পিএসজি), এদের মিলিতাও (রিয়াল), গাব্রিয়েল মাগলায়েস (আর্সেনাল), মার্কিনিওস (পিএসজি)।
মিডফিল্ডার: আন্দ্রে (ফ্লুমিনেন্স), ব্রুনো গিমারেস (নিউক্যাসল), গারসন (ফ্ল্যামেঙ্গো), জোয়াও গোমেস (উলভস), লুকাস পাকেতা (ওয়েস্ট হাম)।
ফরোয়ার্ড: রদ্রিগো (রিয়াল), এনদ্রিক (রিয়াল), এস্তেভাও উইলিয়ান (পালমেইরাস), লুইস হেনরিক (বোটাফোগো), পেদ্রো (ফ্ল্যামেঙ্গো), সাভিনিও (ম্যান সিটি), ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (রিয়াল)।