ফ্রেঞ্চ লিগ ‘আঁ’র মৌসুম শেষ হতে আর ৩ রাউন্ড বাকি আছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাঁসের চেয়ে ৬ পয়েন্টে এগিয়ে পিএসজি। ৩৫ ম্যাচ শেষে পিএসজির পয়েন্ট ৮১, লাঁসের ৭৫। বলা যায়, ফ্রেঞ্চ লিগ ‘আঁ’র শিরোপা জয় মেসি–এমবাপ্পেদের জন্য এখন শুধুই সময়ের ব্যাপার। পিএসজিও এখন তাই বেশি ভাবছে আগামী মৌসুমের দল গঠন নিয়ে।
একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিততে হাপিত্যেশ করে যাওয়া পিএসজি দলে আগামী মৌসুমে কিছু পরিবর্তন যে আসবে, এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক লিওনেল মেসি প্যারিসের ক্লাবটির সঙ্গে নতুন চুক্তি করবেন বলে মনে হয় না। নেইমারকে পেতে চাইছে নিউক্যাসল, নেইমারের ঘনিষ্ঠজনদের দাবি, ব্রাজিলিয়ান তারকাও প্যারিসে থাকতে চান না।
সব মিলিয়ে পিএসজিতে পরিবর্তন আসাটাই স্বাভাবিক। মেসি–নেইমার চলে গেলে এককভাবে পিএসজির শীর্ষ তারকা হবেন এমবাপ্পে। ফ্রান্সের হয়ে ২০১৮ বিশ্বকাপ জেতা এমবাপ্পে এরই মধ্যে ক্লাবের অনেক সিদ্ধান্ত নিজের প্রভাব খাটাতে পারেন বলেই সবাই জানে। ভবিষ্যতে এই প্রভাবটা আরও বাড়ারই কথা।
সে ক্ষেত্রে মেসি–নেইমার দুজনেই বা তাঁদের মধ্যে কেউ একজন চলে গেলে বিকল্প হিসেবে যাঁকে আনা হবে, সেখানে এমবাপ্পের মতের একটা মূল্য থাকবে। ক্লাবটির বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে স্পেনের দৈনিক মার্কা জানতে পেরেছে, আগামী মৌসুমের জন্য এমবাপ্পে পুরোদস্তুর একজন স্ট্রাইকার চান।
এমবাপ্পের একজন ‘নাম্বার নাইন’ চাওয়ার কারণও আছে। দক্ষ একজন গোল করার খেলোয়াড় পেলে আক্রমণভাগে আরও স্বাধীনতা নিয়ে খেলতে পারবেন এমবাপ্পে। তখন বেশি বেশি গোল করার চাপ আর থাকবে না ফরাসি তারকার কাঁধে।
তা ‘নাম্বার নাইন’ হিসেবে কাকে বেশি পছন্দ এমবাপ্পের? ফরাসি তারকার পছন্দের কারণেই শুধু নয়, সবকিছু বিবেচনা করে আগামী মৌসুমে পিএসজির জন্য সঠিক স্ট্রাইকার হতে পারেন নাপোলির ভিক্টর ওসিমেন। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২৩ গোল করে সিরি ‘আ’র সর্বোচ্চ গোলদাতা নাইজেরিয়ান এই স্ট্রাইকার। এমবাপ্পেও নাকি সতীর্থ হিসেবে তাঁকে পেতে চান। তা ওসিমেনের জন্য কত খরচ করতে হতে পারে পিএসজির? মার্কার হিসাব অনুযায়ী দলবদলের বাজারে ওসিমেনের মূল্য ১৫ কোটি ইউরো হতে পারে। অবশ্য আদৌ নাপোলি তাদের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়কে ছাড়তে রাজি হবে কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন। রাজি হলেও এর চেয়ে কম দামে ওসিমেনকে পাওয়া কঠিনই হবে পিএসজির জন্য।
ওসিমেনকে না পেলে পিএসজির জন্য আরেক বিকল্প হতে পারেন হ্যারি কেইন। টটেনহামের ইংলিশ স্ট্রাইকারের দাম তুলনামূলক কম হতে পারে, প্রায় ১০ কোটি ইউরো। টটেনহামের সঙ্গে কেইনের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালে।