কোনো ট্রফি না জিতেই বায়ার্ন মিউনিখ মৌসুম শেষ করতে যাচ্ছে, তা আগেই নিশ্চিত হয়েছিল। তবে দলটির কোচ টমাস টুখেলের বিদায়ী মুহূর্তটা জয়ে রাঙানোর সুযোগ ছিল। বায়ার্নের খেলোয়াড়েরা সেটাও পারেননি।
কাল জার্মান বুন্দেসলিগা মৌসুমের শেষ দিনে হফেনহাইমের কাছে ৪–২ গোলে হেরে গেছে বায়ার্ন। এ হারে পয়েন্ট তালিকার তিনে থেকে লিগ শেষ করেছে তারা, যা ১৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বাজে অবস্থান। সর্বশেষ ২০১০–১১ মৌসুমে বাভারিয়ানরা তৃতীয় হয়েছিল।
বুন্দেসলিগায় এবার পাঁচ ম্যাচ বাকি থাকতেই লিগ জিতেছিল বায়ার লেভারকুসেন। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকেই মৌসুম শেষ করেছে জাবি আলোনসোর দল।
মৌসুমের আরেক চমক ভিএফবি স্টুটগার্ট গতকালের ম্যাচের আগে পয়েন্ট তালিকার তিনে ছিল। কাল বায়ার্ন হফেনহাইমের কাছে হেরে যাওয়ায় এবং স্টুটগার্ট বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখকে হারিয়ে দেওয়ায় ওলট–পালট ঘটে গেছে। ৩৪ ম্যাচে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে স্টুটগার্ট দুইয়ে আর ৭২ পয়েন্ট নিয়ে বায়ার্ন তিনে থেকে মৌসুম শেষ করেছে।
বিবর্ণ বায়ার্নের মতো টমাস মুলারও তাঁর বর্ণিল ক্যারিয়ারের অন্যতম বাজে মৌসুম কাটিয়েছেন। ২০১২ সালের পর এবারই প্রথম কোনো ট্রফি না জিতে মৌসুম শেষ করেছেন এই জার্মানি ফরোয়ার্ড। দুঃসহ সময় পেছনে ফেলতে ২০২৩–২৪ মৌসুমের দ্রুত শেষ দেখতে চেয়েছিলেন তিনি ও তাঁর দল।
কাল ম্যাচ শেষে মুলার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা খুবই অখুশি। আমরা শুধু এই মৌসুমের শেষ দেখতে চেয়েছিলাম এবং এখন আসছে গ্রীষ্মে নতুন শুরুর অপেক্ষায় আছি।’
সদ্য সমাপ্ত বুন্দেসলিগা মৌসুমে বায়ার্ন ৮টি ম্যাচে হেরেছে, যা ১৭ মৌসুমের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। সর্বশেষ ২০০৬–০৭ মৌসুমে ১০টি ম্যাচ হেরেছিল তারা। এবার এত ম্যাচ হারাকে স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না ৩৪ বছর বয়সী মুলারেরও, ‘এতগুলো ম্যাচ হারা আমাদের জন্য অস্বাভাবিক ব্যাপার। এখন আমরা এটাকে পেছনে ফেলে আসার চেষ্টা করব।’
পিঠের চোটের কারণে কাল খেলতে পারেননি বায়ার্নের ‘গোল মেশিন’ হ্যারি কেইন। সামনে ইউরো থাকায় চিকিৎসার জন্য ইংল্যান্ডে ফিরেছেন কেইন। কাল ম্যাচের শুরুতে তাঁর অভাব বুঝতে দেননি বাকিরা। মাথিয়াস টেল ও আলফনসো ডেভিসের গোলে ৬ মিনিটে মধ্যে ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল বায়ার্ন।
তবে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে সময় নেয়নি হফেনহাইম। ৮ মিনিটে মাক্সিমিলিয়ান বাইয়ার ব্যবধান ২–১ করেন। আর দ্বিতীয়ার্ধে হ্যাটট্রিক করে বায়ার্নকে চমকে দেন আন্দ্রে ক্রামারিচ।
বায়ার্নের এমন দুর্ভোগের ব্যাখ্যা জানা আছে বলে জানিয়েছেন বিদায়ী কোচ টুখেল। তবে তিনি কারণটা জনসমক্ষে আনতে চান না। টুখেল সম্পর্কে মুলার বলেছেন, ‘তিনি যখন কোচ হয়ে আসেন, তখন (বায়ার্নের) অবস্থা কিছুটা এলোমেলো ছিল। এই পরিস্থিতি থেকে দলকে এগিয়ে নেওয়া তাঁর জন্য সহজ ছিল না।’