সম্প্রতি ব্রাজিলিয়ান ইউটিউবার ও কৌতুক অভিনেতা হুইন্দেরসন নুনেসের সঙ্গে জেসিকা কানেদো নামে এক ছাত্রীর কথিত প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে একটি ভুয়া স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেটিকে সত্যি ধরে নিয়ে সংবাদ প্রচার করতে থাকে ব্রাজিলের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম।
যদিও সম্পর্কের বিষয়টি শুরু থেকেই অস্বীকার করে এসেছেন নুনেস ও কানেদো। তাঁরা একে–অপরকে চেনেন না, এমনকি কখনো দেখা হয়নি বলেও দাবি করেন। এরপরও ব্রাজিলের বিনোদন সাংবাদিক রাফায়েল সুসা অলিভেইরা বিষয়টি নিয়ে তাঁর ইনস্টাগ্রাম ও এক্স অ্যাকাউন্ট ‘চোকেই’তে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
নিজেকে নিয়ে ভিত্তিহীন সংবাদ ও অনুষ্ঠান হয়তো সহজভাবে নিতে পারেননি জেসিকা কানেদো। ২২ বছর বয়সী এ তরুণী গতকাল আত্মহত্যা করেন। দেশটির সিভিল পুলিশও (তদন্তকারী রাজ্য পুলিশ) কানেদোর মৃত্যুকে সম্ভাব্য আত্মহত্যার মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেছে।
এই মৃত্যুর ঘটনা নেট-দুনিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হয়েছে, যা সমাজে মেয়েটির ব্যাপারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ইউটিউবার নুনেস ও ছাত্রী কানেদোর কথিত প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে মুখরোচক সংবাদ ও কানেদোর মৃত্যুর খবর নেইমারের কানেও এসেছে। এ নিয়ে নিজ দেশের সংবাদমাধ্যমের ওপর বেজায় চটেছেন নেইমার।
চোটের সঙ্গে লড়াই করে চলা আল হিলাল স্ট্রাইকার আজ ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ক্ষোভ ঝেড়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘বিদ্বেষীদের উদ্দেশে বলছি। তোমরা যারা ঘৃণা ছড়াও, যারা নিজেদের সবজান্তা ও সত্যের অধিকারী মনে করো, যারা সাধু সেজে থাকো, যেন কখনো ভুল করো না; তাদের অভিনন্দন। তোমরা আরেকজনকে শিকার করেছ।’
ব্রাজিলের সব ধরনের সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে নেইমার আরও লিখেছেন, ‘তারা যা প্রকাশ করে, সেটার প্রতি খুব সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। আমি সত্যিই সেসব মানুষকে ঘৃণা করি, যারা নিজের পরিচয়ের আড়ালে অন্য কারও সম্পর্কে বাজে কথা বলে। (সত্যতা যাচাই না করেই) সবার আগে সংবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার প্রতিযোগিতা কারও জীবন শেষ করে দিতে পারে। সবাই মানসিকভাবে শক্ত নয়।’
গত ১৭ অক্টোবর উরুগুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে বাঁ হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায় নেইমারের। গত ২ নভেম্বর ব্রাজিলের বেলো হরিজেন্তের একটি হাসপাতালে তাঁর হাঁটুর অস্ত্রোপচার করানো হয়।
এরপর থেকে পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। পুরোপুরি সেরে উঠে মাঠে ফিরতে আরও অন্তত আট মাস লাগবে। তাই আগামী বছর কোপা আমেরিকায় খেলতে পারবেন না।