এল ক্লাসিকোয় বার্সেলোনার কাছে রিয়াল মাদ্রিদের উড়ে যাওয়ার পরই অনেকে লা লিগার এই মৌসুমের শেষ দেখে ফেলেছিলেন। সেই ম্যাচের পর দুই দলের পয়েন্টের পার্থক্য ছিল ৬। ধারণা করা হচ্ছিল, দারুণ ছন্দে থাকা বার্সেলোনা হয়তো একতরফাভাবেই লিগ জিতে যাবে। কিন্তু লিগ জয় যে অনেক লম্বা পথ পাড়ি দেওয়ার ব্যাপার, তা স্পষ্ট হচ্ছে ধীরে ধীরে।
মাত্র কয়েক ম্যাচের ব্যবধানেই বেশ ভালোভাবেই লড়াইয়ে ফিরে এসেছে রিয়াল। গতকাল রাতে লেগানেসের বিপক্ষে ৩–০ গোলে জয়ের পর বার্সা–রিয়ালের পয়েন্টের ব্যবধান ৪। তবে বার্সার চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলেছে রিয়াল। এর আগে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে রিয়ালের ম্যাচটি বন্যার কারণে স্থগিত করা হয়েছিল। এখন হাতে থাকা সেই বাড়তি ম্যাচে জয় পেলে পয়েন্টের ব্যবধান নেমে যাবে ১–এ, যা রিয়ালকে বেশ ভালোভাবেই শিরোপার লড়াইয়ে রাখবে।
পয়েন্টের ব্যবধান কমিয়ে আনার পাশাপাশি রিয়ালের জন্য বড় স্বস্তি আক্রমণভাগকে ভিন্নভাবে খেলানোর সমাধান খুঁজে পাওয়া। গতকাল জায়গা বদলে এমবাপ্পেকে খেলানো হয় উইংয়ে এবং মাঝে খেলানো হয় ভিনিসিয়ুসকে।
এর সুফল পেয়েছে রিয়াল। ৫ ম্যাচ পর প্রথম গোল পেয়েছেন এমবাপ্পে এবং তাঁর খেলাতেও দেখা গেছে সেই চিরচেনা ছাপ। এমবাপ্পের গোলে ফেরার পাশাপাশি টানা দ্বিতীয় ম্যাচে গোল পেয়েছেন জুড বেলিংহাম। অন্য গোলটি ফেদে ভালভের্দের।
ম্যাচ শেষে দলের ফরোয়ার্ড লাইনে অবস্থান পরিবর্তন নিয়ে কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেন, ‘দল খুবই সুদৃঢ় ও মনোযোগী ছিল। আমরা ফরোয়ার্ডদের পজিশন কিছুটা বদলে দিয়েছি। এমবাপ্পেকে উইংয়ে খেলিয়েছি এবং ভিনিসিয়ুস ছিল ভেতরে। ভিনিসিয়ুসও খুব ভালো খেলেছে। প্রথম গোলটা ভিনিরই বানিয়ে দেওয়া এবং তার পর থেকে আমরা ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করেছি।’
আক্রমণভাগের পজিশন বদলানো নিয়ে আনচেলত্তি আরও বলেন, ‘সে (এমবাপ্পে) বাঁ প্রান্তে খেলে অভ্যস্ত। বাইরের দিকে খেলা মাঝে খেলার চেয়ে বেশি ক্লান্তিকর। ভিনি মাত্রই বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে এসেছে আর এমবাপ্পে তুলনামূলক বেশি সতেজ ছিল। সে ভিনির সহায়তায় দারুণ এক গোল করেছে। দুজনই ধাপে ধাপে উন্নতি করছে।’