মালদ্বীপের বিপক্ষে বাঁ পায়ের গোড়ালিতে চোট পেয়েছেন তারিক কাজী
মালদ্বীপের বিপক্ষে বাঁ পায়ের গোড়ালিতে চোট পেয়েছেন তারিক কাজী

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ

ভুটানের বিপক্ষে খেলতে পারবেন না তারিক কাজী

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটানের বিপক্ষে আগামীকাল সেমিফাইনালে ওঠার ম্যাচ বাংলাদেশের। এই ম্যাচে জয় না ড্র দরকার হবে, তা জানা যাবে কালই আগে হয়ে যাওয়া লেবানন-মালদ্বীপ ম্যাচের পর।

আর এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই বাংলাদেশ পাচ্ছে না নির্ভরযোগ্য সেন্টারব্যাক তারিক কাজীকে। গত রোববার মালদ্বীপ ম্যাচে বাংলাদেশের দ্বিতীয় গোলটি করার পর বাঁ পায়ের গোড়ালির চোট নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি। গতকাল ও আজ অনুশীলন করেননি।

ভুটান ম্যাচে তারিক কাজী থাকছেন না, বিষয়টা আজ নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার আমের খান। বেঙ্গালুরু থেকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে আমের বলেছেন, ‘তারিক কাল খেলবে না। যদিও ওর গোড়ালির চোটের এক্স-রেতে কোনো চিড় ধরা পড়েনি, এখন ব্যথাও নেই। ফোলাও কমেছে। কিন্তু তারিককে খেলানোর ব্যাপারে দলের ডাক্তার ও ফিজিও ঝুঁকি নিচ্ছে না। তারাই ভুটান ম্যাচে তারিককে দলে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারিক বলেছে সে সেমিফাইনাল খেলতে চায়।’

তারিকের গোলে পরশু মালদ্বীপের বিপক্ষে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ

বাংলাদেশ দলে তপু বর্মণের সঙ্গে সেন্টারব্যাকে তারিক কাজী নিয়মিত মুখ। দলের প্রয়োজনে তাঁকে উইংব্যাকেও ব্যবহার করেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। ভুটান ম্যাচে তারিকের জায়গায় রাইটব্যাক থেকে বিশ্বনাথ ঘোষকে আনতে পারেন কাবরেরা। তপু বর্মণ তো থাকছেনই। রহমতকে বিশ্বনাথের জায়গায় আনতে পারেন কোচ। সেভাবেই আজ অনুশীলন হয়েছে বাংলাদেশ দলের।

কম্বোডিয়ায় সেন্টারব্যাক হিসেবে তারিক কাজীর সঙ্গে ছিলেন মেহেদি। সে ম্যাচে তপু খেলেনি। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে কোচ ঈসা ফয়সালকে রক্ষণে বাঁ দিকে রেখেছেন, বিশ্বনাথ ডানে। তারিক আর তপু মাঝখানে।

সেন্টারব্যাক হিসেবে খেললেও গোল করতে ওপরে উঠতে পারেন তারিক। সুযোগও এসে যায় তাঁর সামনে। গত মার্চে সিলেটে সেশেলসের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচে করেছেন বাংলাদেশের হয়ে নিজের প্রথম গোল। বেঙ্গালুরুতে চলমান সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে তাঁর ভুলেই লেবাননের বিপক্ষে প্রথম গোল খেয়েছে বাংলাদেশ। অবশ্য পরের ম্যাচেই মালদ্বীপের বিপক্ষে গোল করে বাংলাদেশের জয়ে রেখেছেন বড় অবদান।

বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া মনে করছেন, তারিক কাজী না থাকলেও ভুটান ম্যাচ পার হতে খুব একটা সমস্যা হবে না। তাঁর কথা, ‘তারিককে আমরা মিস করব। সে প্রাচীরের মতো। সে সব সময়ই নির্ভরযোগ্য।’

অনুশীলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া

তবে প্রশ্ন উঠছে জামাল ভূঁইয়াকে পুরো সময় কেন খেলাচ্ছেন না কোচ? গত কয়েকটি ম্যাচেই ধারাবাহিকভাবে দেখা যাচ্ছে ৫৫-৬০ মিনিটের মধ্যে জামালকে তুলে নেন কোচ। জামালের জন্য যা বিব্রতকরই। ক্লাব পর্যায়ে তিনি ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেন। এবার জাতীয় দলে কোচ তাঁকে একটু ওপরে খেলাচ্ছেন। নিজের পজিশন পরিবর্তন এবং বিরতির কিছু সময় পর তাঁকে নিয়মিতভাবে তুলে নেওয়া নিয়ে আজ অনুশীলনে জামালকে প্রশ্ন করা হয়েছে। মনে ক্ষোভ থাকলেও উত্তরটা কৌশলেই দিয়েছেন জামাল, ‘আমি খেলি, কোচ আমাকে যেখানে খেলান। কোচ আমাকে যে দায়িত্ব দেন, ওইখানেই খেলব।’

নিজের খেলা নিয়ে কী মূল্যায়ন করবেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা একটা ভালো পজিশনে আছি। নিজেরটা ওকে আছে।’ জামালের ফিটনেস-পারফরম্যান্স নিয়ে কোচের সন্দেহ আছে কি না, এমন প্রশ্নে কাবরেরার উত্তর, ‘কোনোভাবেই নয়।’