ইউনাইটেডে হতাশায় পুড়ছেন কাসেমিরো
ইউনাইটেডে হতাশায় পুড়ছেন কাসেমিরো

কাসেমিরোকে যেভাবে ‘নির্ঘুম রাত’ উপহার দিচ্ছে ইউনাইটেড

২০১০ সালে সাও পাওলোতে তাঁর পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু। সেখান থেকে রিয়াল মাদ্রিদ হয়ে ২০২২ সালে নাম লিখিয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। কিন্তু ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলটিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে কাসেমিরো ঘুমাতে পারছেন না। রাতের পর রাত নির্ঘুম কাটছে তাঁর। কিন্তু কেন?

এই ‘কেন’র উত্তর পেতে হলে সময়ের চাকায় ঘুরে একটু পেছনে গিয়ে কাসেমিরোর ক্যারিয়ারটা দেখে আসতে হবে। ২০১০ সালে সাও পাওলোর মূল দলে অভিষেক হওয়া কাসেমিরো ক্যারিয়ারের প্রথম শিরোপা জেতেন ২ বছর পরই। ২০১২ সালে জেতেন কোপা সুদামেরিকানা।

রিয়ালের বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন কাসেমিরো

সাও পাওলোতে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের খেলা নজর কাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ কর্তৃপক্ষের। ২০১৩ সালেই তাঁকে ধারের চুক্তিতে নিয়ে নেয় ইউরোপের সফলতম দলটি। সে বছরই তাঁকে পাকাপাকিভাবে নিয়ে নেয় রিয়াল।

রিয়ালে নাম লেখানোর মৌসুমেই জেতেন চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। স্পেনের ক্লাবটিতে ৯ বছরের অধ্যায়ে সেটিসহ জেতেন ৫টি চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ৩টি লা লিগা শিরোপা। শুধু তা–ই নয়, রিয়ালে ছোট–বড় মিলিয়ে তাঁর শিরোপার সংখ্যা ১৮। কিন্তু ওল্ড ট্রাফোর্ডকে ঠিকানা বানানোর পর চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা নিয়েই থাকতে হচ্ছে অনিশ্চয়তার মধ্যে। এই হতাশাই কাসেমিরোকে রাতে ঘুমাতে দেয় না।

সাও পাওলো থেকে রিয়াল—শিরোপা জিততে অভ্যস্ত কাসেমিরোর কাছে ইউনাইটেডের শিরোপা-খরা মোটেই স্বস্তিকর নয়। সব মিলিয়ে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ইএসপিএন ব্রাজিলকে বলেছেন, ‘এটা কঠিন। শিরোপার জন্য লড়াই করছি না, এ ব্যাপারটা আমাকে হতাশ করে। শীর্ষে থাকা দলের চেয়ে ২০ পয়েন্ট (আসলে ২২ পয়েন্ট) পিছিয়ে আমরা।’

সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রতি মৌসুমেই শিরোপা–দৌড়ে থাকা একজনের জন্য নতুন ক্লাবে এসে এতটা পিছিয়ে থাকার যন্ত্রণা যে কতটা, কাসেমিরো সেটা বললেন এভাবে, ‘ভিন্ন কিছু করার ভাবনা করার চেষ্টা করতে গিয়ে এমনকি আমি ঘুমাতেও পারি না। এটাই বাস্তবতা।’

এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সতীর্থদের একটা পরামর্শও দিয়েছেন কাসেমিরো, ‘শিরোপা বা চ্যাম্পিয়নস লিগ নিয়ে ভাবার কিছু নেই আমাদের। শুধু প্রতিদিনের ম্যাচ নিয়েই ভাবতে হবে। আমাদের এগোতে হবে প্রতিদিনের পরিকল্পনা করে।’