৮ নভেম্বর বুন্দেসলিগায় বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ভের্ডার ব্রেমেনের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন সাদিও মানে। কিন্তু কে ভেবেছিল সেই ম্যাচটি তাঁর বিশ্বকাপই শেষ করে দেবে! ব্রেমেনের বিপক্ষে ম্যাচে পায়ের হাড়ে চোট পেয়েছিলেন তিনি।
সেনেগালের বিশ্বকাপ দলে রাখা হলেও জানানো হয়েছিল, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটি খেলতে পারবেন না। কিন্তু শঙ্কাটা ছিলই, তিনিই আদৌ বাকি ম্যাচগুলোতে মাঠে নামতে পারবেন কি না! শেষ পর্যন্ত শঙ্কাই সত্যি হলো, বিশ্বকাপকেই বিদায় বলতে হচ্ছে বায়ার্ন মিউনিখ তারকার।
গ্রুপ পর্বের অন্তত একটি ম্যাচের জন্য হলেও মানেকে দলে চেয়েছিল সেনেগাল। যে কারণে ঝুঁকি নিয়ে রেখে দেওয়া হয় বিশ্বকাপ দলে। তবে বৃহস্পতিবার স্ক্যান করানোর পর পরিষ্কার হয়, বিশ্বকাপে আর মাঠে নামতে পারবেন না।
সেনেগাল দলের চিকিৎসক ম্যানুয়েল আফোনসো বৃহস্পতিবার সংবাদিকদের বলেন, ‘চোটে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে আমরা বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলাম। ওর চিকিৎসার সব তথ্য পেতে আমি বায়ার্নে ছুটেও গিয়েছিলাম। সিদ্ধান্ত ছিল, বিশ্বকাপের আগে আরেকটি এমআরআই করানো হবে। সেটি আজ করানো হয়েছে। দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, আমরা যা ভেবেছিলাম, আজকের এমআরআই তার পক্ষে কথা বলছে না। বেদনার সঙ্গে বলতে হচ্ছে, মানেকে বিশ্বকাপ দল থেকে সরিয়ে নিতে হচ্ছে।’
মানে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর একটি বিবৃতি দেয় বায়ার্ন মিউনিখ। এরই মধ্যে লন্ডনে মানের পায়ের অস্ত্রোপচার করানো হয়েছে জানিয়ে লেখা হয়, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লন্ডনে সাদিও মানের সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে মিউনিখে পুনর্বাসনপ্রক্রিয়া শুরু করবেন তিনি।’
কাতার বিশ্বকাপের ‘এ’ গ্রুপে আছে সেনেগাল। গ্রুপের অপর তিন দল নেদারল্যান্ডস, ইকুয়েডর ও কাতার। সেনেগালের প্রথম ম্যাচ ২১ নভেম্বর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে।