পার্থক্য গড়ে দেবেন, সেটা তো অনুমিতই ছিল। তবে লিওনেল মেসির প্রভাবে ইন্টার মায়ামি এতটা বদলে যাবে, সেটা কী ভেবেছেন! বোধ হয় না। আর এমন কিছু ভাবলেও সেই ভাবনাকে দুঃসাহসীই বলতে হবে।
কারণ, যে মায়ামি মেসির যোগ দেওয়ার আগের ১১ ম্যাচেই ছিল জয়হীন, সেই দলটাই মেসির যোগ দেওয়ার পর জিতেছে টানা ৬ ম্যাচে। নিজেদের লিগে ২২ ম্যাচে ২২ গোল করা দলটি লিগস কাপে করেছে ৬ ম্যাচে ২১ গোল। লিগে পয়েন্ট তালিকায় তলানিতে অবস্থান করা মায়ামি উঠেছে লিগস কাপের ফাইনালে।
লিগস কাপের ফাইনালে ওঠায় পরের মৌসুমের কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে (এখনকার কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস লিগ) খেলা নিশ্চিত হলো মায়ামির। মহাদেশীয় এই আসরে প্রথমবার খেলার যোগ্যতা অর্জন করল ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্লাবটি। ২৭ দলের এই টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়নরা খেলবে ২০২৫ সালের ক্লাব বিশ্বকাপে।
মেসির মায়ামির সামনে সুযোগ আছে সরাসরি কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার। সে ক্ষেত্রে লিগস কাপে চ্যাম্পিয়ন হতে হবে তাদের। এ ছাড়া এমএলএস চ্যাম্পিয়ন, লিগা এমএক্স চ্যাম্পিয়ন, সেন্ট্রাল আমেরিকান চ্যাম্পিয়ন, ক্যারিবিয়ান চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে লিগস কাপের চ্যাম্পিয়ন সরাসরি খেলবে দ্বিতীয় রাউন্ডে। ২৭ দলের এই আসরে ২২টি দল খেলে প্রথম রাউন্ডে।
লিগস কাপের ফাইনাল ও কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপ নিশ্চিত হওয়া ইন্টার মায়ামির কোচ জেরার্দো মার্তিনোর কাছে প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণের মতো, ‘দল আন্তর্জাতিক একটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে। কনক্যাকাফ কাপে কোয়ালিফাই করাও আমাদের লক্ষ্য ছিল। এখন আমাদের লিগস কাপের ফাইনাল জেতার চেষ্টা করতে হবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী, আমাদের মনোযোগ প্রতিদিন উন্নতি করার দিকে।’
মেসি, সের্হিও বুসকেতস ও জর্দি আলবা—এই ত্রিফলাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন মার্তিনো, ‘দলের ওপর লিও (মেসি), বুসকেতস ও আলবার যে প্রভাব, তারা তরুণ ফুটবলারদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ছড়িয়ে দিচ্ছে। বুসকেতস বল পুনরুদ্ধার নিয়ে অনেক কাজ করছে, যেটা সতীর্থদেরও ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।’
আর যিনি মায়ামির এত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু, সেই মেসিও ফাইনালে ওঠার পর ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন কাজ এখনো শেষ হয়নি, ‘ফাইনালের ওঠার পথ করে নিয়েছে। তবে এখনো একটি স্টেশন বাকি।’