ম্যাচ শেষে হতাশ লিভারপুলের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ আর রবার্টসন
ম্যাচ শেষে হতাশ লিভারপুলের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ আর রবার্টসন

লিভারপুলকে হারের হ্যাটট্রিক থেকে বাঁচাল ভিএআর

রেফারি যখন প্রথমার্ধ শেষের বাঁশি বাজালেন, লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের চোখেমুখে ছিল হতাশার স্পষ্ট ছবি। শেষ বাঁশি বাজার পরও সেই ছবিটা পাল্টায়নি। পুরো ম্যাচে বল দখলে চেলসির চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও গোলে শট নেওয়া আর সেই শট লক্ষ্যে রাখায় এগিয়ে ছিল তাঁর দল। এরপরও ১ পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে লিভারপুলকে। ক্লপ আবার এই ভেবে খুশিও হতে পারেন যে পোস্ট আর ভিএআর যে তাঁর দলকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে হ্যাটট্রিক হার থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।

চেলসির বিপক্ষে এ ম্যাচ খেলতে নামার আগে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ব্রেন্টফোর্ডের কাছে ৩–১ আর ব্রাইটনের কাছে ৩–০ গোলে হেরেছে লিভারপুল।

লিভারপুলকে পোস্ট আর ভিএআরের বাঁচিয়ে দেওয়ার ঘটনাটি একই সময়ে। ৩ মিনিটে ম্যাচের প্রথম আক্রমণটি করে চেলসি। থিয়াগো সিলভার শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরে আসা বল জালে জড়ান কাই হাভার্টজ। কিন্তু রেফারি ভিএআর দেখে অফসাইডের কারণে গোল বাতিল করেন।

লিভারপুল–চেলসি ম্যাচে জিততে পারেনি কোনো দলই

প্রথমার্ধে আরও একটি ভালো সুযোগ পেয়েছিল চেলসি। ৩২ মিনিটে হাকিম জিয়েশের অসাধারণ একটি ক্রস বক্সের মধ্যে সুবিধাজনক অবস্থায় পেয়ে যান বেনোইত বাডিয়াশিলে। ভালো হেডও নেন তিনি। কিন্তু আলিসনের দুর্দান্ত সেভের কারণে গোল পায়নি চেলসি। অন্যদিকে প্রথমার্ধে লিভারপুলও ভালো সুযোগ পেয়েছে দুটি। দুবারই ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন অ্যানফিল্ডের দলটির নতুন খেলোয়াড় ডাচ ফরোয়ার্ড কোডি গাকপো।

নিজেদের মাঠে দ্বিতীয়ার্ধে একটু বেশি উজ্জীবিত মনে হয় লিভারপুলকে। কিন্তু রক্ষণ, মাঝমাঠ আর আক্রমণভাগের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ছিল চোখে পড়ার মতো। মোহাম্মদ সালাহ-আলকানতারাদের ভালো কিছু আক্রমণ গিয়ে খেই হারিয়েছে চেলসির বক্সে বা বক্সের আশপাশে।

লিভারপুলের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ

লিভারপুল সবচেয়ে ভালো সুযোগটি দ্বিতীয়ার্ধে পায় ৮২ মিনিটে। বক্সে দুর্দান্ত বল বাড়ান দারউইন নুনিযেজ। চেলসির ডিফেন্ডার বলটি ভালোভাবে বিপদমুক্ত করতে পারেননি। বল গিয়ে পড়ে ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আরনল্ডের পায়ে। কিন্তু তাঁর শট চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।

যোগ করা সময়ে চেলসির সুযোগ এসেছিল গোল করার। বক্সের বাইরে থেকে কুকুরেল্লা বল বাড়ান সামনে। কিন্তু চুকোওমেকা শট নেওয়ার আগেই অসাধারণ দক্ষতায় তা ব্লক করেন হেন্ডারসন। সব মিলিয়ে এই ড্রয়ের পর ১৯ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে আছে লিভারপুল। এক ম্যাচ বেশি খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে চেলসির অবস্থান ১০ নম্বরে। ১৮ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে আর্সেনাল। এক বেশি খেলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ৪২।