উয়েফা নেশনস লিগের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ইতালির কাছে হারের পর হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ছেন নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক ভার্জিল ফন ডাইক ও সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং
উয়েফা নেশনস লিগের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ইতালির কাছে হারের পর হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ছেন নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক ভার্জিল ফন ডাইক ও সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং

মনে করেন রুদ খুলিত

ফন ডাইক-ডি ইয়ংদের নেতৃত্বের দক্ষতা নেই

ভার্জিল ফন ডাইক, ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের ক্যারিয়ার অভিজ্ঞতায় টইটম্বুর। লিভারপুলের হয়ে পাঁচ মৌসুমে সম্ভাব্য সব শিরোপা জেতা হয়ে গেছে ফন ডাইকের। ডি ইয়ং বার্সেলোনার হয়ে চার বছরে জিতেছেন তিনটি শিরোপা। লিভারপুল ও বার্সার মতো পরাশক্তি ক্লাবে খেলায় অনেক নামীদামি তারকার সঙ্গে তাঁরা অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে পারেন, প্রতিনিয়ত শিখতে পারেন অনেক কিছু।

তবে ক্লাব ফুটবলের এই অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিক ফুটবলে কাজে লাগাতে পারছেন না ফন ডাইক ও ডি ইয়ং। জাতীয় দল নেদারল্যান্ডসের হয়ে দুজনই ৫০টির বেশি ম্যাচ খেলে ফেললেও বড় ম্যাচগুলোয় স্নায়ুচাপে ভেঙে পড়ছেন।

সম্প্রতি নিজেদের মাঠে উয়েফা নেশনস লিগের সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ইতালির কাছে হেরে গেছে নেদারল্যান্ডস। দুই ম্যাচে ডাচরা খেয়েছে ৭ গোল। এর আগে ফ্রান্সের বিপক্ষে ইউরো বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচেও ৪-০ গোলে উড়ে গেছে তারা।

রোনাল্ড কোমান প্রধান কোচ হিসেবে ফেরার পর চার ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছে নেদারল্যান্ডস

কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে ছিটকে পড়ার পর অবসরে যান নেদারল্যান্ডস কোচ লুই ফন গাল। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব নেন রোনাল্ড কোমান। কিন্তু জাতীয় দলের ডাগআউটে ফিরে বাজে সময় পার করেছেন কোমান। তাঁর অধীনেই ডাচরা হেরেছে ওই তিন ম্যাচে। যে ম্যাচটি জিতেছেন, সেটা ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের ২০১ নম্বরে থাকা জিব্রাল্টারের বিপক্ষে। সব ম্যাচেই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ফন ডাইক।

ফুটবলের ক্ষেত্রে দল খারাপ করলে দায়টা সাধারণত কোচের ওপর গিয়ে পড়ে। তবে নেদারল্যান্ডসের ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সে কোচ কোমানের দায় দেখছেন না রুদ খুলিত। কিংবদন্তি এই ডাচ ফুটবলার বরং ফন ডাইক-ডি ইয়ংদের মধ্যে নেতৃত্বগুণের অভাব দেখছেন। নেদারল্যান্ডসের শীর্ষ দৈনিক ডি টেলিগ্রাফকে খুলিত বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, ফন ডাইক ও ডি ইয়ংয়ের দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো দক্ষতা নেই। আমি লক্ষ্য করেছি দলের প্রয়োজনীয় মুহূর্তে এই দুই খেলোয়াড় জ্বলে উঠতে পারে না। আসলে আমি এমন কিছু চাইছি, যেটা ওদের কাছে নেই। নিজেদের খেলায় ওদের আরও মনোযোগী হওয়া উচিত। দলে নেতার অভাব থাকলে একজন কোচের পক্ষে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে।’

নেদারল্যান্ডসের ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সাফল্য ১৯৮৮ ইউরো জয়। সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন খুলিত। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপক্ষে ফাইনালে গোলও করেছিলেন সাবেক এসি মিলান তারকা। এখন পর্যন্ত সেটিই হয়ে আছে ডাচদের একমাত্র শিরোপা।

দীর্ঘ মৌসুম শেষে ছুটি কাটাচ্ছেন ফন ডাইক-ডি ইয়ংরা। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর গ্রিসের বিপক্ষে ইউরো বাছাইয়ের ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরবে নেদারল্যান্ডস। ওই ম্যাচে পয়েন্ট হারালেই ইউরোর মূল পর্বে ওঠার সমীকরণ আরও কঠিন হয়ে পড়বে ডাচদের।