কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল সৌদি আরব। বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম সেরা সেই অঘটনের নায়ক ছিলেন সৌদি কোচ হার্ভি রেনার। আর্জেন্টিনাকে হারানোর দারুণ ছক কষে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন এই কোচ।
বিশ্বকাপের পর সৌদি আরবের সঙ্গে নিজের যাত্রাটা আর দীর্ঘায়িত করেননি রেনার। গত মাসে সৌদি আরব জাতীয় দল ছেড়ে তিনি দায়িত্ব নেন ফ্রান্স নারী ফুটবল দলের। আর তাঁর ছেড়ে যাওয়ায় জায়গাটিতে এবার জোসে মরিনিওকে আনতে চায় সৌদি আরব। শুধু এটুকুই নয়, মরিনিওকে পেতে তাঁরা রেকর্ড গড়া প্রায় ১২ কোটি ইউরো বেতনও দিতে চায়। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা।
বর্তমানে এএস রোমার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ আছেন মরিনিও। ইতালিয়ান ক্লাবটির সঙ্গে এই পর্তুগিজ কোচের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালে। তবে সৌদি আরবের দেওয়া প্রস্তাব গ্রহণ করলে রোমার সঙ্গে মেয়াদ শেষ না করেই মরুর দেশে পাড়ি জমাতে হবে মরিনিওকে।
ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম কোরিয়েরে দেল্লো স্পোর্তের দেওয়া খবর বলছে, ৬০ বছর বয়সী মরিনিওকে দুই মৌসুমের জন্য পেতে বছরপ্রতি ছয় কোটি ইউরো দিতে চায় সৌদি আরব। সৌদি আরবের ফুটবল কর্তৃপক্ষের দেওয়া এই প্রস্তাব যদি মরিনিও গ্রহণ করেন, তিনি হবেন ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি বেতনের কোচ। মরিনিও রাজি হলে সৌদি আরবের সঙ্গে তাঁর চুক্তিটি হবে দুই মৌসুমের। এরপর দুই পক্ষের সমঝোতায় তিনি চাইলে ক্লাব ছাড়তে পারবেন কিংবা ২০২৬ সাল পর্যন্ত নতুন চুক্তিও করতে পারবেন।
অন্যদিকে এখন পর্যন্ত রোমা মরিনিওকে নতুন চুক্তি প্রস্তাব না করায় তাঁর সৌদি আরব যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে বলে জানাচ্ছে ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। জানা গেছে, মরিনিও চান মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই রোমা কর্তৃপক্ষ যেন তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়। চুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তিনি মৌসুমের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি নন। পাশপাশি নতুন খেলোয়াড় কেনার বিষয়েও তাঁর বিশেষ চাহিদা আছে বলে জানা গেছে।
এখন অবশ্য সৌদি আরবের লোভনীয় প্রস্তাবের পর রোমার সঙ্গে নতুন চুক্তি নিয়ে মরিনিওর অবস্থান কী হবে, সেটিও বিবেচনার বিষয়। এর আগে বিশ্বকাপের পর মরিনিওর ব্রাজিল দলের কোচ হওয়ার গুঞ্জন শোনা যায়। এমনকি নিজ দেশ পর্তুগালের কোচ হওয়ার প্রস্তাবও নাকি পেয়েছিলেন মরিনিও। যদিও শেষ পর্যন্ত রোমাতেই থেকে যান সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ কোচ। এখন সৌদি আরবের বিশাল অঙ্কের প্রস্তাব মরিনিওকে সৌদি আরবে নিতে পারে কি না, সেটাই দেখার অপেক্ষা।