ম্যাচের তখন ৫৬ মিনিট, ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে লিভারপুল ১-০ গোলে পিছিয়ে। দলকে একটি গোল এনে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন মোহাম্মদ সালাহ-দারউইন নুনিয়েজরা। এমন সময়ে নুনিয়েজের সঙ্গে ঝামেলা লেগে যায় ক্রিস্টাল প্যালেসের জোয়াকিম অ্যান্ডারসনের। প্যালেসের ডিফেন্ডার কী একটা বলতেই রেগেমেগে তাঁকে ঢুস মারেন নুনিয়েজ। রেফারি তাঁকে সরাসরি লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন।
লিভারপুলে জার্মান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের আমলে সহিংস আচরণের জন্য কোনো খেলোয়াড়ের লাল কার্ড দেখার ঘটনা এটাই প্রথম। নুনিয়েজ এর জন্য তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পাচ্ছেন। তাঁর নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে আগামী সপ্তাহে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে লিভারপুলের ম্যাচ দিয়ে।
এমনিতেই চোটের কারণে কিছুটা হলেও এলোমেলো লিভারপুল। এর মধ্যে এমন একটি কাণ্ড ঘটিয়ে নুনিয়েজ দল আর সতীর্থদের কি একটু বিপদে ফেলে দিলেন না? ম্যাচ শেষে এমন প্রশ্নের উত্তরে ক্লপ নুনিয়েজেরই পাশে দাঁড়িয়েছেন। তবে মাঠে ‘এমন ভুল আচরণ’ করা নিয়ে উরুগুইয়ান স্ট্রাইকারের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন।
ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে নুনিয়েজের লাল কার্ড পাওয়ার বিষয়টি মেনে নিয়েছেন ক্লপ। তবে বিষয়টি নিয়ে একটু মজাও করলেন, ‘না, আমি তার সঙ্গে পরবর্তী তিন ম্যাচের জন্য কথা বলব না।’
মজা করার পর্ব শেষ করার পর ক্লপ নুনিয়েজের ভুল করার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন, ‘আমি প্রথমে পরিস্থিতিটা দেখব। আমি ঠিক জানি না, আসলে কী ঘটেছে। আমি অ্যান্ডারসনকে মাঠে পড়ে থাকতে এবং দারউইনকে হেঁটে যেতে দেখেছি। আমি ছেলেদের জিজ্ঞাসা করেছি এবং পরে ঘটনাটা দেখেছিও। লাল কার্ডটা ঠিক আছে। ওর এমন প্রতিক্রিয়া দেখানোটা ভুল ছিল।’
নুনিয়েজকে এমন কিছু করার জন্য প্ররোচিত করা হয়েছিল বলেই মনে করেন ক্লপ, ‘অ্যান্ডারসন এটাই চেয়েছিল এবং সে পেয়েও গেছে। তবে দারউইন ভুল করেছে।’ এরপর ক্লপ যোগ করেন, ‘কিছু প্ররোচনা তো ছিলই। তবে এটা নিশ্চিত যে ওর প্রতিক্রিয়াটা ভুল ছিল।’
নুনিয়েজের এমন কাণ্ডে দল যে কিছুটা হলেও বিপদে পড়েছে, ক্লপ বললেন সেটাও, ‘সে এটা থেকে শিক্ষা নেবে। দুর্ভাগ্যবশত তাকে কয়েক ম্যাচ বাইরে থাকতে হবে, যেটা আমাদের জন্য খুব একটা ভালো খবর নয়; অন্তত দলের এই পরিস্থিতে। কিন্তু যা ঘটার, তা তো ঘটেই গেছে।’