নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল তাঁর ক্লাব বসুন্ধরা কিংস। মাঠে ফেরাটা ছিল সময়ের ব্যাপার। তপু বর্মণের সেই অপেক্ষা আজ ফুরাল। নিষেধাজ্ঞার মন্দ সময় পেছনে ফেলে কিংসের জার্সিতে আবারও মাঠে ফিরেছেন তিনি। আজ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের শুরুর দিনই ব্রাদার্সের বিপক্ষে কিংসের ম্যাচটি পুরো সময়ই খেলেছেন জাতীয় দলের ডিফেন্ডার।
গত সেপ্টেম্বরে মালদ্বীপের ক্লাব মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের বিপক্ষে এএফসি কাপের ম্যাচ খেলতে মালে গিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। সেই সফরেই শৃঙ্খলাভঙ্গ করেন তপু। শুধু তিনিই নন, শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো, মিডফিল্ডার শেখ মোরছালিন, ফরোয়ার্ড তৌহিদুল আলম সবুজ ও রিমন হোসেনের বিরুদ্ধে।
নিয়মবহির্ভূতভাবে মালদ্বীপ থেকে প্রচুর মদ এনেছিলেন তাঁরা। এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছিল দেশের ফুটবলে। কিংস এই ঘটনা তদন্ত করে খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল।
মোরছালিন আর রিমনকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। করা হয়েছিল জরিমানা। বড় শাস্তি হয় তৌহিদুলেরই—এক বছর। আনিসুর নিষিদ্ধ হন ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত আর তপু এ বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিংসের হয়ে এএফসি কাপ আর জাতীয় দলের হয়ে বেশ কিছু ম্যাচ মিস করেন মোরছালিন, তপু আর আনিসুর।
এ মাসের শুরুতে তপু আর আনিসুরের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। দুজন কিংসের অনুশীলনেও যোগ দেন। এএফসি কাপের শেষ ম্যাচ খেলতে ভুবনেশ্বরেও যান তাঁরা দলের সঙ্গে। তবে সেখানে খেলা হয়নি তাঁদের। আজ লিগের প্রথম ম্যাচেই তপু আবার ফিরলেন কিংসের প্রথম একাদশে। ব্রাদার্সের বিপক্ষে পুরো ম্যাচই খেলেছেন তিনি। যদিও আনিসুরকে থাকতে হচ্ছে অপেক্ষাতেই।
বাংলাদেশ দলের জার্সিতে ৫৩টি ম্যাচ খেলেছেন তপু। মাঠের ভূমিকা ডিফেন্ডারের হলেও ৬টি গোলও আছে তাঁর। জাতীয় দলের রক্ষণের সবচেয়ে বড় ভরসাই বলা হয় তাঁকে। আগেই বলেছিলেন তিনি মদ–কাণ্ড নিয়ে অনুতপ্ত, ‘আমি বলে বোঝাতে পারব না, কতটা অনুতপ্ত আমি। কাজটা খুব বাজে হয়েছিল। ক্লাব আমাকে শাস্তি দিয়েছে, আমি মাথা পেতে নিয়েছি। এখন মাঠে ফেরার অপেক্ষা করছি। যদিও জানি ফেরাটা সহজ হবে না। আমাকে লড়েই ফিরতে হবে।’
সেপ্টেম্বরের ওই ঘটনাকে অতীত বানিয়ে লড়েই ফিরেছেন তপু।