ঘরের মাঠ আর ইউরো বাছাইপর্বের সঙ্গে ইংল্যান্ডের রসায়নটা কিন্তু বেশ দারুণ। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইউরো বাছাইপর্বের ম্যাচে নর্থ মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে গতকাল গোল–উৎসবে মেতেছিল ইংল্যান্ড। বুকায়ো সাকার হ্যাটট্রিক আর হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে নর্থ মেসিডোনিয়াকে তারা হারিয়েছে ৭-০ গোলে।
ঘরের মাঠে ইউরো বাছাইয়ে গ্যারেথ সাউথগেটের দল অনেক দিন ধরেই গোল–উৎসব করছে। ২০১৬ ইউরো বাছাই থেকে এখন পর্যন্ত নিজেদের ডেরায় খেলা সর্বশেষ ১২ ম্যাচে ইংল্যান্ডের গোল ৪৭টি। এই সময়ে তারা গোল হজম করেছে মাত্র ৪টি। ইংলিশরা ওই ১২ ম্যাচেই জয় পেয়েছে।
তিন দিন আগেই বাছাইপর্বের অ্যাওয়ে ম্যাচে মাল্টাকে ৪-০ গোলে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। ঘরের মাঠে নর্থ মেসিডোনিয়াকে পেয়ে ইংল্যান্ড যে দাপট দেখাবে, সেটা অনুমিতই ছিল। তবে ৭-০ গোলের এত বড় জয় হয়তো অনেকেই প্রত্যাশা করেনি। অবশ্য বাছাইপর্বে বড় জয় পাওয়া ইংল্যান্ডের জন্য নতুন কিছু নয়। এর আগে ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর কাতার বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ম্যাচে সান মারিনোকে ১০-০ গোলে হারিয়েছিলেন কেইনরা।
গতকাল ৭-০ গোলের জয়ে সবচেয়ে বড় কাজটা যিনি করেছেন, সেই সাকা খেলেছেন চোট নিয়ে। এটি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে আর্সেনাল তারকার প্রথম হ্যাটট্রিক। চোট নিয়ে খেলা সাকা মৌসুম শেষে এখন একটু বিশ্রাম নিতে চান। পুরো মৌসুম আর্সেনালের হয়ে খেলার পর জাতীয় দলের হয়েও নেমে পড়তে হয়েছে।
হয়তো সে কারণেই ক্লান্তি ভর করেছে, ‘অনেক দীর্ঘ একটা মৌসুম ছিল। এর চেয়ে ভালোভাবে শেষ করার সুযোগ ছিল না। এখন শান্ত হয়ে বিশ্রাম নেওয়ার সময়। আজকের (কালকের) ম্যাচটা অনেক উপভোগ করেছি।’ ইংল্যান্ডের অন্য দুই গোলদাতা মার্কাস রাশফোর্ড ও কেলভিন ফিলিপস।
ইউরো বাছাইপর্বে ইংল্যান্ডের পরবর্তী ম্যাচ ইউক্রেনের বিপক্ষে, ৯ সেপ্টেম্বর। পরের দিন ইউরোর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইতালির বিপক্ষে খেলবে নর্থ মেসিডোনিয়া। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্লে-অফ ম্যাচে এই নর্থ মেসিডোনিয়ার কাছে হেরেই কাতারের টিকিট কাটা হয়নি ইতালির। এই হারে টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ খেলতে ব্যর্থ হয় চারবারের চ্যাম্পিয়নরা।
বাছাইপর্বে এখন পর্যন্ত ‘সি’ গ্রুপের শীর্ষে আছে ইংল্যান্ড। চার ম্যাচের সব কটিতে জিতেছে ইংলিশরা। দিনের অন্য ম্যাচে মাল্টাকে ১-০ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার দুই নম্বরে উঠে এসেছে ইউক্রেন। ৩ ম্যাচে দলটির পয়েন্ট ৬। তিন নম্বরে আছে ইতালি, তাদের পয়েন্ট ২ ম্যাচে ৩। সমান পয়েন্ট নিয়ে চারে মেসিডোনিয়া। তবে ইতালির চেয়ে একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে তারা। আর চার ম্যাচের সব কটিতে হেরে তলানিতে আছে মাল্টা।