বিমানবন্দর থেকে মতিঝিলের বাফুফে ভবন—ছাদখোলা বাসে এ পথটুকু ফিরতে ফিরতে হাজার হাজার মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন সাবিনা খাতুনরা।
হাত নাড়িয়ে, স্লোগান তুলে মেয়েদের অভিনন্দন জানিয়েছেন পথের দুই ধারে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ জনতা। মানুষের এ অভিবাদনে আপ্লুত সাবিনারা দীর্ঘ পথযাত্রা শেষেও যেন অক্লান্ত।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ভবনে পৌঁছানোর পর জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে সাফল্যের ব্যাখ্যা করলেন অধিনায়ক সাবিনা, ‘আমার মনে হয়, পরিশ্রম এবং স্যারদের সমর্থন ও মেয়েদের প্রতি যে বিনিয়োগটা তাঁরা করেছেন, তার বিপরীতে দিন শেষে আমরা স্বপ্নটা পূরণ করতে পেরেছি, এটাই সবচেয়ে বড় সাফল্য। আমাদের লক্ষ্য থাকবে দেশের মানুষকে এভাবে হাসিখুশি রাখার।’
সাবিনারা নেপালে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছেন সোমবার সন্ধ্যায়। এরপর ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও দেশের মানুষের যে উচ্ছ্বাস, তাতে ভালোবাসায় আপ্লুত বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক, ‘এই ঘটনার পর বলার অবকাশ রাখে না যে এই দেশের মানুষ ফুটবলের প্রতি কতটা আসক্ত এবং তাঁরা কতটা ভালোবাসেন। আপনারা সব সময় পাশে ছিলেন, আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। সামনেও সমর্থন দেবেন, আশা করি, আমারা দেশকে আরও ভালো ভালো শিরোপা উপহার দেব।’
বিজয়ের পথ ফুলে বিছানো ছিল না, পেরিয়ে যেতে হয়েছে নানা রকমের বাধা। দীর্ঘদিন এক লক্ষ্য নিয়ে অবিচল থাকার কথা বলতে গিয়ে সাবিনা বাফুফে প্রেসিডেন্ট কাজী সালাউদ্দিনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, আমরা চার-পাঁচ বছর ধরে একটা জায়গাতেই আছি, ক্যাম্পেই আছি। আপনারা শুনেছেন, প্রেসিডেন্ট স্যার যেমনটা বলছিলেন, স্যারের বাসায় দাওয়াত খেতে গিয়ে সানজিদা বলেছিল, “স্যার, ফুটবল খেলা অনেক কষ্ট।” স্যার বলেছিলেন, “কষ্ট, কিন্তু করে যাও, একটা সময় ভালো ফল পাবা।”’