অভিষেক ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গোল করে ইন্টার মায়ামিকে জিতিয়েছেন লিওনেল মেসি
অভিষেক ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গোল করে ইন্টার মায়ামিকে জিতিয়েছেন লিওনেল মেসি

বললেন মায়ামি কোচ

মেসির গোলটি যেন ‘সিনেমা’

৯৪ মিনিটে লিওনেল মেসির গোলের পর ইন্টার মায়ামি কোচ জেরার্দো টাটা মার্তিনোর অভিব্যক্তিই বলে দিচ্ছিল সব। হাসিমুখে হাততালি দিয়ে মেসিকে অভিনন্দন জানাতেও দেখা গেল তাঁকে। বার্সেলোনা ও আর্জেন্টিনা দলের হয়ে আগের দুই দফায় মেসির সঙ্গে যাত্রাটা খুব একটা সুখকর হয়নি তাঁর। তবে এবার অভিষেকেই মার্তিনোকে আনন্দের উপলক্ষ এনে দিয়েছেন মেসি। ম্যাচ শেষে মেসিকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত এই আর্জেন্টাইন কোচ। তিনি বলেছেন, সবকিছু যেন প্রস্তুতই করা হয়েছে মেসির সেই জাদুকরি গোলটা দেখার জন্য।

ক্রুজ আজুলের বিপক্ষে লিগস কাপের ম্যাচের আগেই আভাস মিলেছিল, মেসিকে বদলি হিসেবে নামানো হতে পারে। হলোও তা-ই। ম্যাচের শুরুতে মেসিকে দেখা গেল ডাগআউটে। তবে বিরতির পর গ্যালারিতে উপস্থিত সমর্থকদের নিরাশ করেননি মার্তিনো। ৫৪ মিনিটে মেসিকে মাঠে নামান এই আর্জেন্টাইন কোচ।

ম্যাচের বাকি সময়ে ঝলক দেখিয়ে মেসি কাঙ্ক্ষিত গোলটি এনে দেন ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে। এ গোলে মেসি প্রায় দুই মাস পর ইন্টার মায়ামিকে এনে দিয়েছেন দারুণ এক জয়।

যে জয়ের পর মার্তিনো বলেছেন, ‘এটা সিনেমা, যা আমরা আগেও দেখেছি। আপনারা জানেন, এটা তার জন্য সাধারণ ঘটনা। গোলটা দেখতে খুব স্বাভাবিক মনে হলো, কিন্তু তা নয়। আমরা একজন সর্বকালের সেরাকে নিয়ে কথা বলছি।’

এদিন মাঠে নামার আগে থেকেই মেসির নাম ধরে গলা ফাটিয়েছেন দর্শকেরা। শেষ মুহূর্তে মেসির করা এই গোলের জন্য গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শকদেরও ধন্যবাদ দিয়েছেন ইন্টার মায়ামি কোচ, ‘খেলার কোনো এক পর্যায়ে এই গোল দেখার জন্য স্টেডিয়ামে অনেক প্রাণশক্তির উপস্থিতি ছিল। শেষ মুহূর্তে এটি ঘটায় নাটকীয়তা আরও বেড়ে গেছে।’

এর আগে কাতার বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষ হিসেবে মেসির মুখোমুখি হয়েছিলেন মার্তিনো। সেদিন মেক্সিকোকে হারানোর পথে দুর্দান্ত এক গোল করেছিলেন মেসি। মেসি–জাদুতে ইন্টার মায়ামির জয়ের মুহূর্তে সেই গোলের স্মৃতিটাও মনে করালেন মার্তিনো। তিনি বলেন, ‘সে একমাত্র ব্যক্তি যে ওই গোল করতে পারত এবং সে করেছিল।’

অভিষেক ম্যাচে মেসিকে বদলি নামিয়েছেন মায়ামি কোচ মার্তিনো

সেদিন প্রত্যাশার বিপরীতে মেসির দুর্দান্ত গোলের সাক্ষী হতে হলেও এখন ‘এলএম টেন’–এর কাছ থেকে নিয়মিতই এমন গোল দেখতে চাইবেন মার্তিনো।