ক্লপ আর গার্দিওলার দ্বৈরথ শেষ হতে যাচ্ছে
ক্লপ আর গার্দিওলার দ্বৈরথ শেষ হতে যাচ্ছে

ক্লপের জীবনে দেখা সেরা কোচ গার্দিওলা

আট বছর ধরে ইংলিশ ফুটবলের তো বটেই, ইউরোপিয়ান ফুটবলেরও অন্যতম সেরা দ্বৈরথ ম্যানচেস্টার সিটি ও লিভারপুলের। এ দুই দলের ম্যাচই বেশির ভাগ মৌসুমে হয়ে উঠেছে শিরোপা নির্ধারক। তবে সিটি–লিভারপুলের লড়াইয়ে দল কিংবা খেলোয়াড়দের ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠেছে দুই কোচ পেপ গার্দিওলা এবং ইয়ুর্গেন ক্লপের দ্বৈরথ।

কৌশলে কে কাকে ছাড়িয়ে যাবেন, সেদিকে চোখ থাকে সবার। তবে সব ভালো কিছুরই নাকি কখনো না কখনো শেষ হতে হয়। সে নিয়মে আগামীকাল অ্যানফিল্ডের ম্যাচ দিয়ে শেষ হচ্ছে প্রিমিয়ার লিগে এ দুই কোচের দ্বৈরথ। এ মৌসুম শেষে ক্লপ লিভারপুলকে বিদায় বলে দিচ্ছেন। তবে শেষ লিগ ম্যাচটিও সেই আগের মতোই উত্তাপ ছড়াচ্ছে। এ ম্যাচেই নির্ধারণ হয়ে যেতে পারে লিগ শিরোপার ভাগ্য।

এমন উত্তাপের ম্যাচের আগে স্বাভাবিকভাবেই দুই পক্ষ তেতে থাকার কথা। এরই মধ্যে কথার লড়াই দেখা গেছে আর্লিং হলান্ড এবং ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আরনল্ডের মধ্যেও। তবে সেই পথে হাঁটেননি গার্দিওলা ও ক্লপ। বরাবরে মতো এবারও ম্যাচের আগে একে অন্যকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তাঁরা। ক্লপ তো বলেই দিয়েছেন, গার্দিওলা তাঁর জীবনে দেখা সেরা কোচ।

অতীতেও ডাগআউটের দ্বৈরথকে কখনো সংবাদ সম্মেলনের টেবিলে টেনে আনেননি গার্দিওলা ও ক্লপ। এবারও দেখা মিলেছে একই চিত্র। ৫৬ বছর বয়সী ক্লপ নানা দিক থেকে গার্দিওলা একজন অসাধারণ কোচ বলে মন্তব্য করেছেন।

ক্লপ-গার্দিওলা ; দুজনই দুজনের চিরাচরিত কৌশল থেকে কিছু কিছু জিনিস অনুকরণ করেছেন

ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে গার্দিওলা সেরা কোচ কি না, জানতে চাইলে ক্লপ বলেছেন, ‘অতীতের কোচদের আমি কীভাবে বিচার করব? কিন্তু আমার জীবনে দেখা অসাধারণ এক কোচ গার্দিওলা।’

সামগ্রিকভাবে শিরোপা জয়ে গার্দিওলা এগিয়ে থাকলেও মুখোমুখি লড়াইয়ে দাপট কিন্তু ক্লপেরই। ২৯ ম্যাচের ১২টিতে জিতেছেন ক্লপ আর ১১টি জিতেছেন গার্দিওলা। ফলাফলে এগিয়ে থাকলেও গার্দিওলাই তাঁর কাছে সেরা বলে মন্তব্য করেছেন লিভারপুল কোচ, ‘এই মুহূর্তে পেপের বিপক্ষে আমার ফল ইতিবাচক। সত্যি কথা বলতে, সেটা কীভাবে হয়েছে, আমি ঠিক জানি না। এটা ভালোই। আমি জানি, আমি যা করছি, তাতে আমি বেশ ভালো। তবে আপনি আমাকে সেরা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছেন এবং আমার কাছে সে (গার্দিওলা) হচ্ছে সেরা।’

একইভাবে গার্দিওলা প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ক্লপকে। জার্মান কোচের মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে গার্দিওলা বলেছেন, ‘এটা সব সময় আনন্দের। রোববারও একই রকম আনন্দের হবে, তবে আমরা ম্যাচটা জেতার চেষ্টা করব। যেভাবে সে দলকে খেলায়, আপনি সব সময় কিছু না কিছু শিখবেন।’

ফুটবলের প্রতি ক্লপের ভালোবাসার কথা উল্লেখ করে গার্দিওলা এরপর যোগ করেছেন, ‘সে এমন মানুষ, যে ফুটবল ভালোবাসে। তার নিবেদন সেখানে উপস্থিত থাকে। প্রিমিয়ার লিগে শেষবার দেখা হচ্ছে, হয়তো এফএ কাপে আরেকবার হতে পারে।’