ভালোই বিপদে পড়েছেন আশরাফ হাকিমি। প্রথমে তাঁর বিরুদ্ধে এক নারীর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এবং সেই ঘটনার জের ধরে স্ত্রীর তালাকের আবেদন—সব মিলিয়ে কঠিন সময় পার করছেন মরক্কোর এই তারকা ফুটবলার। হাকিমির বিপদ অবশ্য এখন অন্যদিকে মোড় নিয়েছে।
যৌন নির্যাতন ও তালাকের ঘটনা পেরিয়ে সেটি এখন অর্থসম্পদ ভাগাভাগিতে গিয়ে ঠেকেছে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, হাকিমির স্ত্রী হিবা আবুক স্বামীর কাছ থেকে তাঁর সম্পদের অর্ধেক দাবি করেছেন। কিন্তু সেই দাবি সামনে এনে তিনি যা জানতে পেরেছেন, তা পিলে চমকানোর মতোই।
ফরাসি ম্যাগাজিন ফার্স্ট ম্যাগের বরাত দিয়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, হিবা তালাকের আবেদনে হাকিমির সম্পদের অর্ধেকটা দাবি করেছেন। কিন্তু এরপর তিনি জানতে পারেন, হাকিমির সম্পদের কোনো কিছুই তাঁর নামে নেই। হাকিমির প্রায় সব সম্পত্তি তাঁর মায়ের নামে। কয়েক বছর ধরে হাকিমির বেতনও নিজের অ্যাকাউন্টে নিয়ে আসছেন তাঁর মা।
এদিকে হিবার সম্পদ দাবি করার ঘটনা স্পেন, ফ্রান্স ও মরক্কোয় বেশ আলোড়ন তুলছে। অনেকের মতে, হিবার নিজের ভরণপোষণের জন্য হাকিমির অর্থসম্পদের ওপর নির্ভর করার প্রয়োজন নেই। হাকিমির অবশ্য প্রাচুর্যের কমতি নেই। আফ্রিকার সবচেয়ে বেশি বেতনধারী ফুটবলারদের মধ্যে হাকিমির অবস্থান ৬ নম্বরে। এক হিসাবে জানা গেছে, তাঁর সম্পদের পরিমাণ ২৪ মিলিয়ন ডলার। হাকিমি প্রতি মাসে পিএসজি থেকে পেয়ে থাকেন ১ মিলিয়ন ডলার।
কিন্তু এই বেতনের কেবল ২০ শতাংশ হাকিমি পেয়ে থাকেন। বাকিটা চলে যায় তাঁর মায়ের অ্যাকাউন্টে। সব মিলিয়ে হাকিমির এই সম্পদের ৮০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করছেন তাঁর মা। অন্যদিকে, হাকিমির চেয়ে ১২ বছরের বড় স্ত্রী হিবার সম্পদের পরিমাণ ২ মিলিয়ন ডলারের মতো।
হাকিমির সঙ্গে বিচ্ছেদের পর হিবা সাবেক স্বামী কাছ থেকে ৮.৫ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পেতে পারতেন। কিন্তু হাকিমির সম্পত্তি তাঁর মায়ের নামে হওয়ার পুরো ব্যাপারটিই এখন অন্যদিকে মোড় নিয়েছে।
এর আগে ২৪ বছর বয়সী এক নারী হাকিমির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। গত শনিবার প্যারিসে হাকিমি নিজের বাসায় তাঁকে ধর্ষণ করেন—এই অভিযোগ করেছেন সেই নারী। তবে এ ঘটনায় স্ত্রী হিবা তালাক চাইলেও নিজের দেশ ও ক্লাবের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছেন হাকিমি।