আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিভাগ লিগের দল সোল দে মায়োতে খেলতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। সেখানে মৌসুম শেষ। তিনি বাংলাদেশে চলে আসতে চান। ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের হয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় লেগে খেলার ইচ্ছা তাঁর। এ জন্য আজ ভোরে আর্জেন্টিনা থেকে দেশে ফিরে আবাহনী ক্লাবে গিয়েছিলেন। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে তিনি কী প্রক্রিয়ায় আবাহনীতে খেলতে আসছেন, সে ব্যাপারে এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
সোল দে মায়োর সঙ্গে জামালের চুক্তি এখনো বহাল। সে ক্ষেত্রে আবাহনীতে খেলতে এলে তাঁকে ধারে আসতে হবে। অথবা আবাহনীকে দলবদল ফি দিয়ে সোল দে মায়োর কাছ থেকে জামালকে কিনে নিতে হবে। আবার জামাল মুক্ত খেলোয়াড় হিসেবেও আবাহনী চলে আসতে পারেন, যদি সোল দে মায়োর সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে তিনি চুক্তি বাতিল করতে পারেন।
‘জামালের জন্য আমরা ফেডারেশনের মাধ্যমে ছাড়পত্র চাইব। আজ সেটি নিয়েই আলোচনা হয়েছে মূলত। আমরা চাই জামাল পুরোপুরি মুক্ত হয়েই আমাদের সঙ্গে খেলুক। আর্জেন্টিনার ক্লাবটি এখন কী করবে, সেটাই বড় বিষয়।কাজী নজরুল ইসলাম, আবাহনী ফুটবল দলের ম্যানেজার
আবাহনী ফুটবল দলের ম্যানেজার কাজী নজরুল ইসলাম যেটা বলছেন, তাতে মনে হচ্ছে, তারা সোল দে মায়োর কাছে জামালকে মুক্ত খেলোয়াড় করে দেওয়ার অনুরোধ করবেন, ‘জামালের জন্য আমরা ফেডারেশনের মাধ্যমে ছাড়পত্র চাইব। আজ সেটি নিয়েই আলোচনা হয়েছে মূলত। আমরা চাই জামাল পুরোপুরি মুক্ত হয়েই আমাদের সঙ্গে খেলুক। আর্জেন্টিনার ক্লাবটি এখন কী করবে, সেটাই বড় বিষয়।’
গত পরশু আবাহনীর ডিরেক্টর ইনচার্জ কাজী নাবিল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেছিলেন, জামালের সঙ্গে আবাহনীতে খেলার চুক্তি হয়ে গেছে। তবে আজ এখন ম্যানেজার নজরুল ইসলামের কথা থেকে বোঝা যাচ্ছে, পুরো বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন। এ ব্যাপারে জামাল ভূঁইয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
ডেনমার্কে বেড়ে ওঠা জামাল ভূঁইয়া ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলছেন। দেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৮০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে তাঁর। জাতীয় দলের জার্সি পরার পর থেকে তিনি দেশের ঘরোয়া ফুটবলেরই অংশ।
খেলেছেন সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রে। মাঝখানে ভারতের আই লিগে কলকাতা মোহামেডানের হয়েও খেলে এসেছেন। গত মৌসুমে তিনি খেলেছেন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রে। ২০২৩ সালের শেষ দিকে তিনি শেখ রাসেল থেকে আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিভাগের ক্লাব সোল দো মায়োতে খেলতে যান। আর্জেন্টিনা থেকে উড়ে এসেই তিনি গত বছর জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচগুলো খেলেছেন।
এদিকে জাতীয় দলে জামালের ফর্ম নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কোচ হাভিয়ের কাবরেরা জামালকে সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোতে পুরো সময় খেলাননি। ৬০/৭০ মিনিট পরই তাঁকে তুলে নেওয়া হয়েছে। মার্চে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ সামনে রেখে জাতীয় দলের প্রাথমিক দলে আছেন জামাল। তবে আজ বাফুফে ভবনে জাতীয় দলের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জামালের ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন কোচ কাবরেরা, ‘আর্জেন্টিনার লিগে এখন বিরতি। সে খেলার মধ্যে নেই, এটা অবশ্য সত্যি। জামালের খেলা আমি দেখেছি। তাঁর সঙ্গে আমাদের সব সময় যোগাযোগ ছিল। সে পুরোপুরি ফিট আছে। জাতীয় দলে তাঁকে নেওয়া নিয়ে কোনো সংশয়ই নেই।’