১৯৩০ সালের প্রথম আসরের পর কাতার বিশ্বকাপকে সবচেয়ে ‘আঁটসাঁট’ বলছে ফিফা। স্বাগতিক কাতারসহ ৩২টি দলের একটি করে ‘টিম বেস ক্যাম্প’ আছে, সঙ্গে আছে ‘টিম বেস ক্যাম্প হোটেল’। ৩২টি দলের শুধু থাকার জায়গা নয়, অনুশীলনেরও আলাদা আলাদা জায়গা নির্দিষ্ট করা আছে।
৩২টি দলের মধ্যে ২৪টিই ১০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে থাকবে। পুরো বিশ্বকাপই অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজধানী দোহাকে ঘিরে।
৩২টি দলের কারা কোথায় থাকছে, চলুন দেখে নেওয়া যাক—
গ্রুপ ‘এ’-তে থাকা স্বাগতিক কাতার থাকবে আল আজিজিয়া বুটিক হোটেলে। অ্যাসপায়ার জোন ট্রেনিং ফ্যাসিলিটিস-৩-এ অনুশীলন করবে তারা।
ইকুয়েডর থাকছে হায়াট রিজেন্সি ওরিক্স-এ। অনুশীলন মিসাইমার এসসি ট্রেনিং ফ্যাসিলিটিস।
দুহাইল হ্যান্ডবল স্পোর্টস হলে থাকছে সেনেগাল। অনুশীলন করবে সেখানকার স্পোর্টস সেন্টারে।
নেদারল্যান্ডসের আবাস দ্য সেন্ট রেজিস-এ। অনুশীলনের জন্য কাতার ইউনিভার্সিটির ৬ নম্বর ট্রেনিং ফ্যাসিলিটিসে যেতে হবে ডাচদের।
গ্রুপ ‘বি’
ইংল্যান্ডের ঘাঁটি সুল আল ওয়াকরা হোটেল। অনুশীলন আল ওয়াকরা স্টেডিয়ামে।
আল রাইয়ান হোটেলে ইরান, অনুশীলন ওই জায়গারই স্পোর্টস ট্রেনিং ফ্যাসিলিটিস-এ।
মারসা মালাজ কেম্পিংকিসি নামের হোটেলে থাকছে যুক্তরাষ্ট্র। আল ঘারাফা স্টেডিয়ামে প্রস্তুতি নেবে তারা।
ওয়েলস থাকছে ডেল্টা হোটেলস সিটি সেন্টারে। আল সাদ এসসি নিউ ট্রেনিং ফ্যাসিলিটিস-এ অনুশীলন তাদের।
গ্রুপ ‘সি’-এর দল আর্জেন্টিনা, সৌদি আরব, মেক্সিকো ও পোল্যান্ড। কাতার ইউনিভার্সিটির ১ নম্বর হোস্টেলে থাকছেন লিওনেল মেসিরা। সৌদি আরব ও মেক্সিকো থাকছে দুটি রিসোর্টে। পোল্যান্ডের জায়গা এজদান প্যালেস নামের হোটেলে।
গ্রুপ ‘ডি’-এর দল দলগুলো হচ্ছে ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক ও তিউনিসিয়া।
ফ্রান্স, ডেনমার্ক ও তিউনিসিয়া হোটেল ও রিসোর্টে থাকলেও অস্ট্রেলিয়ার ঘাঁটি নিউ অ্যাসপায়ার একাডেমি অ্যাথলেট অ্যাকোমোডেশন-এ।
গ্রুপ ‘ই’-এর স্পেনও আর্জেন্টিনার মতো থাকছে কাতার ইউনিভার্সিটির একটি হোস্টেলে। কোস্টারিকা, জার্মানি ও জাপান অবশ্য উঠেছে হোটেলেই।
গ্রুপ ‘এফ’-এর দলগুলো হচ্ছে বেলজিয়াম, কানাডা, মরক্কো ও ক্রোয়েশিয়া।
গ্রুপ ‘জি’-এ ব্রাজিলের সঙ্গে আছে সার্বিয়া, সুইজারল্যান্ড ও ক্যামেরুন।
পর্তুগাল, ঘানা, উরুগুয়ে ও দক্ষিণ কোরিয়া গ্রুপ ‘এইচ’-এ।
ছবি—হোটেলগুলোর ওয়েবসাইট, ফেসবুক ও টুইটার