মাঠে ঢুকে রেফারিকে ঘুসি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়েছিলেন আঙ্কারাগুজু ক্লাবের সভাপতি ফারুক কোজা
মাঠে ঢুকে রেফারিকে ঘুসি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়েছিলেন আঙ্কারাগুজু ক্লাবের সভাপতি ফারুক কোজা

রেফারিকে ঘুষি মারা তুরস্কের সেই ক্লাব সভাপতি আজীবন নিষিদ্ধ

রেফারিকে ঘুষি মেরে আলোচিত তুরস্কের আঙ্কারাগুজু ক্লাবের সভাপতি ফারুক কোজাকে ফুটবল থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করেছে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন (টিএফএফ)। গত সোমবার রাতে দেশটির শীর্ষ লিগে আঙ্কারাগুজু ও রিজেসপোরের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হওয়ার পর রেফারিকে ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়েছিলেন কোজা।

টিএফএফ আরও জানিয়েছে, সুপার লিগের ক্লাব আঙ্কারাগুজুকে ২০ লাখ লিরা (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা) জরিমানাও দিতে হবে। আর ক্লাব কর্মকর্তা এবং সমর্থকদের মধ্যে অস্থিরতা চলার কারণে ঘরের মাঠে পাঁচটি ম্যাচে দর্শক ছাড়াই খেলতে হবে আঙ্কারাগুজুকে। এ ছাড়া ঘুষি মারার সেই ঘটনায় ক্লাবের অন্যান্য অফিশিয়ালদেরও বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা, জরিমানা ও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

রেফারি হালিল উমুত

রিজেসপোরের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে মাঠে ঢুকে রেফারি হালিল উমুতের মুখে ঘুষি মেরেছিলেন কোজা। ৯৭ মিনিটে সমতাসূচক গোল করেছিল রিজেসপোর, এরপর এই কাণ্ড ঘটান আঙ্কারাগুজু ক্লাবের সভাপতি। মাটিতে পড়ে থাকা হালিলকে লাথিও মারা হয়। পরের দিন কোজাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। লিগের সব ম্যাচ স্থগিত করে তুরস্কের ফুটবল ফেডারেশন। এক সপ্তাহ বিরতির পর আগামী মঙ্গলবার থেকে ম্যাচগুলো আবারও মাঠে গড়াবে। এদিকে ফোলা এবং কালশিটে পড়া চোখ নিয়ে গত বুধবার হাসপাতাল ছেড়েছেন রেফারি হালিল।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রাজধানী আঙ্কারার সম্ভাব্য মেয়রপ্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল কোজাকে। ঘুষি মারার সেই ঘটনার পর ক্লাবে নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। নিজ দলের এক খেলোয়াড়ের লাল কার্ড দেখা এবং যোগ করা সময়ে সমতাসূচক গোল হজম করা কোজা মেনে নিতে পারেননি। মেজাজ হারিয়ে তাই রেফারির ওপর চড়াও হন তিনি।

আঙ্কারাগুজু ক্লাবের সভাপতি ফারুক কোজা

তুর্কি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের ক্ষমতাসীন একেপি পার্টি থেকেও সরে দাঁড়িয়েছেন কোজা। এ বছরের শুরুতে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছিলেন, একেপি পার্টির প্রার্থী হিসেবে আঙ্কারার মেয়র পদে নির্বাচন করতে চান। আগামী ৩১ মার্চ এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।