২০২০ সালে লুইস সুয়ারেজকে যখন বার্সেলোনা ছেড়ে দেয়, লিওনেল মেসির যে খুব মন খারাপ হয়েছিল, সে কথা সবারই জানা। সেই সময় খুব বেশি দূরে যাননি সুয়ারেজ, বার্সেলোনা ছেড়ে আতলেতিকো মাদ্রিদে। তাই নিয়মিতই দেখা হতো দুই বন্ধুর।
সুয়ারেজ এরপর আতলেতিকো ছেড়ে নাম লেখান উরুগুয়ের ক্লাব নাসিওনালে। কিন্তু প্রিয় বন্ধু মেসির সান্নিধ্য থেকে কখনোই দূরে চলে যাননি। ছুটি পেলেই দুই বন্ধু মিলিত হন পরিবারসহ। সুয়ারেজ এখন ব্রাজিলের ক্লাব গ্রেমিওতে। মেসিও বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজি হয়ে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে।
কালের চক্রে দুজন দুই দেশে থাকলেও মেসি-সুয়ারেজের বন্ধুত্বের বন্ধন এতটুকু আলগা হয়নি। তাঁদের বন্ধুত্ব কতটা গভীর, সেটা স্পষ্ট হয় সুয়ারেজের বলা একটি কথায়ও। উরুগুয়ের একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘পুনতো পেনাল’–এ তিনি বলেছেন, ‘আমরা একসঙ্গে অবসর নেওয়ার স্বপ্ন দেখি।’
সুয়ারেজের এমন কথা বলার একটি কারণও আছে। মায়ামিতে মেসির সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তাঁর সাবেক দুই বার্সা সতীর্থ সের্হিও বুসকেতস ও জর্দি আলবা। শোনা যাচ্ছে, সুয়ারেজকেও দলে ভেড়াতে চায় ডেভিড বেকহামের যৌথ মালিকানার ক্লাবটি।
কিন্তু আলোচনা অনেক দূর এগোনোর পর মায়ামির সঙ্গে হঠাৎই যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে সুয়ারেজের ক্লাব গ্রেমিও। তাই উরুগুয়ের তারকা স্ট্রাইকারের মায়ামিতে যোগ দেওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। এ বিষয়েই তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল টেলিভিশনের সেই অনুষ্ঠানে। সে কথার উত্তর দিতে গিয়ে মেসির সঙ্গে মায়ামিতে খেলার তীব্র ইচ্ছার কথা জানান সুয়ারেজ।
‘পুনতো পেনাল’ অনুষ্ঠানে সুয়ারেজ আরও বলেছেন, ‘আমরা যখন বার্সেলোনায় ছিলাম, এটা (একসঙ্গে অবসর নেওয়া) নিয়ে পরিকল্পনা করেছি। এরপর আমি যাই আতলেতিকোয়, সে যায় পিএসজিতে। সেই সময়ই আমরা যুক্তরাষ্ট্রে যাব বলে পরিকল্পনা করি। কিন্তু তেমন কিছু হচ্ছিল না।’
মেসি বার্সেলোনার যুব দলে যোগ দেন ২০০০ সালে, ১৩ বছর বয়সে। সেখান থেকে বার্সেলোনা ‘সি’ ও ‘বি’ হয়ে মূল দলে তাঁর অভিষেক ২০০৪ সালে। আর সুয়ারেজ বার্সেলোনায় নাম লেখান ২০১৪ সালে। দুজনে একসঙ্গে খেলেছেন ৬ বছর।
মেসি ও সুয়ারেজ মিলে বার্সেলোনার হয়ে জিতেছেন ১৩টি শিরোপা। এর মধ্যে চারটি লা লিগা ও একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ। ২০১৫ সালে দুজনে একসঙ্গে জিতেছেন ট্রেবলও।