বয়স ৪০ ছুঁই ছুঁই। কিন্তু বয়সের কাছে আত্মসমর্পণ করতে নারাজ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এখনো দলের জন্য নিজের সর্বোচ্চটা উজাড় করে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নামেন ‘সিআর সেভেন’। কিন্তু এরপরও বয়সের বাস্তবতাকে অস্বীকার করার উপায় কই!
নয়তো স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে ১০৫ মিনিটে পেনাল্টি মিস করে কি আর শিশুদের মতো কাঁদেন! রোনালদোর এই ভেঙে পড়া যেন তাঁর শেষের ডাক শোনার আভাস। কিন্তু এরপরও হাল ছাড়তে নারাজ পর্তুগিজ মহাতারকা।
এখনো গোল করার প্রতিটি সুযোগ লুফে নিতে চান রোনালদো। এগিয়ে আসেন দলের প্রতিটি ফ্রি–কিক ও পেনাল্টিকে গোলে রূপান্তর করার লক্ষ্য নিয়ে। তবে ইউরোর শেষ ষোলোয় পেনাল্টি মিস ও ফ্রি–কিকে একের পর এক সুযোগ হাতছাড়া করার কারণে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছেন রোনালদো।
আগের ম্যাচে একাধিক ফ্রি–কিক নেন রোনালদো। যদিও কোনোটিই শেষ পর্যন্ত ফল নিয়ে আসতে পারেনি। এরপর পেনাল্টি মিস তো আছেই। যে কারণে আজ ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচের আগে কোচ রবার্তো মার্তিনেজকেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে হয়েছে।
বারবার ব্যর্থ হওয়ার পরও রোনালদোই ফ্রি–কিক নেবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মার্তিনেজ বলেছেন, ‘খেলোয়াড়েরা অনুশীলনে এটা চর্চা করেছে। ক্রিস্টিয়ানো ও ব্রুনো ফার্নান্দেজের ওপর দায়িত্ব থাকবে। কখনো কখনো এটা অবস্থান কিংবা মুহূর্তের ওপর নির্ভর করে। তবে আমরা সৌভাগ্যবান যে আমাদের এই মানের দুজন খেলোয়াড় আছে।’
ফ্রি–কিক থেকে গোল করায় রোনালদো সেরাদের একজন। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ফ্রি–কিক থেকে ৬৩টি গোল করেছেন আল নাসর তারকা। তবে এ মুহূর্তে ফ্রি–কিক নেওয়ার ক্ষেত্রে রোনালদোর চেয়ে ফার্নান্দেজকেই এগিয়ে রাখতে চান ইংলিশ কিংবদন্তি গ্যারি লিনেকার।
তিনি বলেছেন, ‘ব্রুনো ফার্নান্দেজ অপেক্ষাকৃত ভালো ফ্রি–কিক নিতে পারে। ফ্রি–কিক নেওয়ার ক্ষেত্রে সে রোনালদোর চেয়ে বেশি বৈচিত্র্যময়। তাই রোনালদো যেমন বড় শক্তি, তেমন সে বড় দুর্বলতাও হতে পারে।’