একের পর এক প্রস্তাব, একে দাও, ওকে দাও, কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা নাও। রীতিমতো ক্রেতার ভিড় আতলেতিকো মাদ্রিদে। তবে ক্রেতা চাইলে কী হবে, বিক্রেতা যে বিক্রিতে নারাজ। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে তাই আড়াইশ মিলিয়ন ইউরো পকেটস্থ করার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে দিয়েগো সিমিওনের দল। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ প্রায় আড়াই হাজার কোটি। খেলোয়াড় বিক্রি করার ইচ্ছা থাকলে দর–কষাকষি করে যা আরও কয়েক শ কোটি বাড়ানো যেত অনায়াসই।
আতলেতিকো বড় অঙ্কের অর্থপ্রাপ্তির প্রস্তাব ‘না’ করে দিয়েছে ভবিষ্যতের ভাবনায়। যে হুয়াও ফেলিক্সকে ঘিরে সিমিওনের দীর্ঘ পরিকল্পনা, তাঁকে কিনে নেওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। দিতে চেয়েছিল ১৩০ মিলিয়ন ইউরো। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এএস জানিয়েছে, বুধবার পর্তুগিজ তারকার জন্য আসা প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আরও তিন ফুটবলারের জন্য প্রস্তাব আসে। এর মধ্যে একটি আবার আসে সেই ইউনাইটেড থেকেই। ২২ বছর বয়সী ফেলিক্সকে পাওয়া যাবে না জানার পর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ম্যাথিউস কুনহাকে চেয়েছিল ইংলিশ ক্লাবটি। ব্রাজিলিয়ানের জন্য দর ছিল ৪০ মিলিয়ন ইউরো। নিজেদের আক্রমণভাগ ঠিকঠাক রাখতে আতলেতিকো সেটিতে ‘না’ বলে দেয়। অন্য দুটি প্রস্তাব আসে চেলসি ও জুভেন্টাস থেকে।
স্প্যানিশ মিডফিল্ডার মার্কোস ইয়োরেন্তে চেয়েছিল চেলসি, আর জুভেন্টাস চেয়েছিল আলভারো মোরাতাকে। এ দুজনের জন্যও প্রস্তাব ছিল ৪০ মিলিয়ন ইউরো করে। এ ক্ষেত্রে মোরাতার বিষয়টি অবশ্য একটু আলাদা। দুই মৌসুম ধরে ‘ধারে’ জুভেন্তাসেই ছিলেন মোরাতা। এবার আতলেতিকোয় ফিরে আসতে না আসতে আবার তাঁকে ফিরিয়ে নিতে চায় ইতালিয়ান ক্লাবটি। কিন্তু আতলেতিকোর জবাব একটাই—‘না’। ক্লাবের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খুব অনুকূল না হলেও স্কোয়াড শক্তিশালী রাখতে চান সিমিওনে।
আড়াই হাজার কোটির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতেও যে বুকের পাটা লাগে, সেটিই দেখাল আতলেতিকো।