আকাশছোঁয়া পারিশ্রমিকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে এনেছে আল–নাসর। রোনালদোকে বছরে ২০ কোটি ১৮ লাখ ইউরো (২ হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা) বেতন দেবে রিয়াদের ক্লাবটি। লিওনেল মেসিকে তো রোনালদোর দ্বিগুণ বেতনে (৪০ কোটি ইউরো বা ৪ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা) দলে ভেড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে আল–নাসরের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী আল–হিলাল। একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম সেরা দুই ফুটবলারকে একবিন্দুতে মেলাতে পারলে সৌদি প্রো লিগের ঔজ্জ্বল্য আর জনপ্রিয়তা যে বহুগুণে বেড়ে যাবে, বলার অপেক্ষা রাখে না।
তবে ক্রীড়াবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন জানিয়েছে, রোনালদোকে আনা আর মেসিকে কেনার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সৌদি ফুটবলে সবে দিনবদলের হাওয়া লেগেছে। অদূর ভবিষ্যতে করিম বেনজেমা, লুকা মদরিচসহ আরও অন্তত ৫০ জন তারকা ফুটবলারকে আনতে চায় দেশটির বিভিন্ন ক্লাব। লক্ষ্য—নিজেদের লিগকে বিশ্বের অন্যতম সেরা বানানোর পাশাপাশি ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজক হতে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা।
২০৩০ বিশ্বকাপের বিডিং শুরুর আগে নামিদামী খেলোয়াড়দের আনতে পারলে সৌদির ফুটবল অবকাঠামো সম্পর্কে বিশ্ব স্বচ্ছ ধারণা পাবে। তারকাদের উপস্থিতি বিশ্বকাপের স্বাগতিক হতে তাদের সহায়তা করবে বলে মনে করছে দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
আগামী গ্রীষ্মকালীন দলবদলে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের (ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও স্পেন) বেশ কয়েকজন বড় তারকাকে কেনার পরিকল্পনা করছে সৌদি ক্লাবগুলো। এ ছাড়া পর্তুগিজ লিগেরও ফুটবলার আনতে চায় তারা।
ইএসপিএনের দাবি, ওই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদের বেনজেমা ও মদরিচ, লিভারপুলের রবার্তো ফিরমিনো, ম্যানচেস্টার সিটির ইলকাই গুন্দোয়ান এবং এভারটনের ইয়েরি মিনা ও আবদুলায়ে ডকুরেকে কয়েক মাস আগেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ মৌসুম শেষে বর্তমান ক্লাবগুলোর সঙ্গে তাঁদের চুক্তির মেয়াদ ফুরোবে। যদিও তাঁদের বেশির ভাগই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ইউরোপে থেকে যেতে আগ্রহী। তবে সৌদি প্রো লিগ কর্তৃপক্ষ এখনই হাল ছাড়তে নারাজ।
যদিও রোনালদো–মেসির মতো বাকিদের আকাশচুম্বী পারিশ্রমিক দিতে রাজি নয় সৌদি কর্তৃপক্ষ। চায়নিজ সুপার লিগের মতো নিজেদের লিগকে ব্যবসায় রূপ দিতে চায় না তারা। ইএসপিএনকে সৌদি ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘বিশ্বের শীর্ষ ৫০ ফুটবলারকে নিয়ে আসা আমাদের মূল উদ্দেশ্য নয়। আমরা সৌদি ফুটবলের উন্নয়ন করতে এবং এই অঞ্চলের (আরব বিশ্বের) সেরা লিগে রূপ দিতে চাই। যেন ইউরোপের বাইরে এটাই ফুটবলারদের প্রথম পছন্দের গন্তব্য হয়। আমরা চায়নিজ লিগের মতো অর্থ ওড়াতে চাই না। কাতার বিশ্বকাপে সবাই ফুটবলের প্রতি সৌদির সমর্থন সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।’