সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে যাওয়া জামাল ভূঁইয়ারা আজ ঈদ উদ্যাপন করেছেন ভারতের বেঙ্গালুরুতে। ১৪ বছর পর সাফের সেমিফাইনালে ওঠার পরের দিনটা হাসি-আনন্দেই কেটেছে তাঁদের।
গত সেপ্টেম্বরে প্রথমবার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা সাবিনা খাতুনরা আজ ঈদ করেছেন দেশেই। তবে দেশে থাকলেও তাঁদের কাছে সেটা হয়েছে প্রবাসজীবনের ঈদের মতোই। আগামী ১২ ও ১৫ জুলাই নেপালের বিপক্ষে ঢাকায় দুটি প্রীতি ম্যাচ থাকায় ছুটি দেওয়া হয়নি নারী ফুটবলারদের। কৃষ্ণা-সানজিদাদের ঈদের দিনটা তাই কেটেছে মতিঝিলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনেই।
অবশ্য এ আর নতুন কী! গত কয়েক বছরে একাধিকবার এই ভবনেই ঈদ করেছেন মেয়েরা। ঈদের দিনও অনুশীলন করার অভিজ্ঞতা আছে তাঁদের। আজ অবশ্য অনুশীলন ছিল না৷
নারী ফুটবলারদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে সকালে বাফুফে ভবনে যান ফেডারেশনের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার। আগের ঈদগুলোর মতো আজও তিনি নারী ফুটবলারদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটিয়েছেন।
মাহফুজা পরে প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘ঈদের সকালে সব সময় আমি আগে মেয়েদের সঙ্গে দেখা করি। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। আমাকে পেয়ে ওরা নিজেদের ভালো লাগার কথা বলেছে। ওরা খুশি আছে, ভালো আছে। ওদের সঙ্গে দেখা করে তারপর পরিবারের সঙ্গে কথা বলি।’
এমনিতে বাফুফে ভবনে থাকা মেয়েদের জন্য ক্যাটারিং থেকে খাবার আনা হয়। কিন্তু ঈদের দুদিন আগে সাবিনাকে ডেকে মাহফুজা জানতে চেয়েছিলেন, ঈদের দিন তাঁরা কী খেতে চান। ঈদের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দৈনন্দিন খাবার সূচির কোনো ব্যাপার থাকবে না। মেয়েরা যা খেতে চান, তা-ই খাওয়া যাবে। মেয়েরা বাফুফে ভবনের বাবুর্চির হাতের রান্না খেতে চান। সেভাবেই তাঁদের জন্য দৈনিক খাবারের তালিকার বাইরে এসে আজ ডায়েটের ব্যাপারটা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
কী খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে আজ মেয়েদের জন্য, মাহফুজা জানিয়েছেন সেটাও। সকালে দুই রকম সেমাই। সঙ্গে গরুর মাংস, ইলিশ খিচুড়ি। দুপুরে মুরগির রোস্ট, গরুর মাংস, খাসির রেজালা। সঙ্গে দই-মিষ্টি, ফলও ছিল। রাতেও একই রকম খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মাহফুজা বাফুফে ভবনে থাকার সময় সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন তাঁর অসুস্থ খালাকে দেখতে বাইরে যান। জাপানে বেড়ে ওঠা ফুটবলার মাতসুশিমা সুমাইয়াও তখন ছিলেন না, ঢাকায় তিনি নিজ বাসায় গিয়েছিলেন।
বাফুফে ভবনে বর্তমানে সিনিয়র বিভাগে ৩০ জন নারী ফুটবলার আছেন। নেপালের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচের কারণে তাঁরা ছুটি না পেলেও জুনিয়র বিভাগের মেয়েরা ছুটিতে বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
গত মাসের শেষ দিকে পদত্যাগ করেন সাবিনাদের কোচ গোলাম রব্বানী। তাঁর জায়গায় মেয়েদের অনুশীলন করাচ্ছেন সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমান।