চেলসিতে গ্রাহাম পটারের উত্তরসূরি কে হচ্ছেন?
তিনটি নাম শোনা যাচ্ছে কয়েক দিন ধরে। বায়ার্ন মিউনিখ থেকে সম্প্রতি ছাঁটাই হওয়া কোচ ইউলিয়ান নাগলসমান, টটেনহাম ও পিএসজির সাবেক কোচ মরিসিও পচেত্তিনো এবং বার্সেলোনা ও স্পেনের সাবেক কোচ লুইস এনরিকে।
আপাতত মনে হচ্ছে, দৌড়ে এনরিকেই এগিয়ে। ইএসপিএনসহ ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকটি পত্রিকার খবর, চেলসির কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করতে এরই মধ্যে স্পেন থেকে লন্ডনে গেছে এনরিকে। ফুটবলের দলবদলবিষয়ক স্প্যানিশ ওয়েবসাইট ফিচায়েস লিখেছে, চেলসির বোর্ডকে তিনটি শর্ত দিয়েছেন এনরিকে। এ তিন শর্ত চেলসি কর্তৃপক্ষ মেনে নিলে, তবেই তিনি কোচ হতে রাজি হবেন।
খেলোয়াড়ি জীবন ও কোচিং ক্যারিয়ার বিবেচনায় নিলে অবশ্য তিনজনের মধ্যে এনরিকেই সবচেয়ে হাই প্রোফাইল। রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা দুই ক্লাবের হয়েই লিগ জেতা স্প্যানিশ এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার পরে বার্সেলোনার কোচ হয়ে তো জিতেছেন ক্লাব ফুটবলের সম্ভাব্য সব ট্রফিই।
ফিফা ও উয়েফার বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার জেতা এনরিকে পরে স্পেনের দায়িত্ব নিয়ে দলকে ২০২০ ইউরোর সেমিফাইনাল ও ২০২১ নেশনস লিগের ফাইনালে তুলেছেন। এমন একজনকে কোচ হিসেবে পেতে চেলসি খুবই আগ্রহী থাকার কথাও।
তবে ফিচায়েসের দাবি, চেলসিকে তিনটি শর্ত দিয়েছেন এনরিকে।
এক. তাঁকে সময় দিতে হবে। দল গোছানোর এবং নিজের ফুটবল দর্শন খেলোয়াড়দের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। তাঁর কাছে হুট করে ফল প্রত্যাশা করলে হবে না।
দুই. তিনি পছন্দের কয়েকজন খেলোয়াড় কিনবেন। শুরুতে তিনি এমন একজন সেন্টার ফরোয়ার্ড চান, যিনি ওঠানামা করে খেলতে পারবেন। সঙ্গে এমন একজন মিডফিল্ডার চান, যিনি এনজো ফার্নান্দেজের পাশে খেলবেন এবং খেলাটা তৈরি করবেন।
তিন. চেলসির এত বড় স্কোয়াড চান না এনরিকে। পছন্দের খেলোয়াড়দের কেনার পর দলের সঙ্গে মানানসই যারা তাদের রেখে বাকিদের বিক্রি করে দিতে হবে। স্কোয়াড ছোট করে ফেললে সবাইকে নিয়ে আরও গভীরভাবে কাজ করা যাবে।
এখন চেলসির কর্তাব্যক্তিরা এনরিকের এসব শর্ত মানতে রাজি হন কি না, সেটাই প্রশ্ন।