কিছু খেলোয়াড়ের বিশ্বকাপ–ভাগ্য রীতিমতো ঈর্ষণীয়। তর্কযোগ্যভাবে ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় পেলেই যেমন চারবার বিশ্বকাপ খেলে তিনবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেয়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপজয়ী খেলোয়াড়ের সম্মানটা তাঁর জন্যই বরাদ্দ।
পেলে ছাড়া একাধিক বিশ্বকাপজয়ী খেলোয়াড় আছেন আরও ২০ জন। তাঁদের ১৫ জনই ব্রাজিলিয়ান। ব্রাজিল ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালে টানা দুটি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়াতেই সংখ্যাটা বেড়ে গেছে। ’৫৮ ও ’৬২—জোড়া বিশ্বকাপজয়ী খেলোয়াড় পেলেসহ ১০ জন।
আজ যদি আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ফ্রান্স টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জিতে যায় তবে একঝটকায় একাধিকবার বিশ্বকাপজয়ী খেলোয়াড়ের সংখ্যায় আরও ১০ জন যোগ হবেন। ২০১৮ সালে রাশিয়ায় বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্স দলের ১০ জন যে আছেন এবারের কাতার বিশ্বকাপের দলেও।
ফ্রান্স অধিনায়ক উগো লরিস ছাড়াও দ্বিতীয় বিশ্বকাপ নিয়ে ফেরার সম্ভাবনা আছে দলটির দুই বিকল্প গোলরক্ষক স্টিভ মাঁদাঁদা, আলফোঁস আরেওলা; ডিফেন্ডার বেঞ্জামিন পাভার, লুকাস এরনান্দেজ, রাফায়েল ভারান; ফরোয়ার্ড আঁতোয়ান গ্রিজমান, কিলিয়ান এমবাপ্পে, অলিভিয়ের জিরু ও উসমান দেম্বেলের।
তাঁদের মধ্যে লরিস, পাভার, ভারান, লুকাস এরনান্দেজ, এমবাপ্পে, গ্রিজমান ও জিরু রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালেও খেলেছেন।
১৯৭৪ সালের আগে ফাইনালে মাঠে না নামলে পদক পেতেন না অন্য খেলোয়াড়েরা। ১৯৭৪ বিশ্বকাপে নিয়মটা পাল্টায় ফিফা। তবে এর আগের চ্যাম্পিয়ন দলের অন্য সদস্যদের পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় ২০০৭ সালে। ১৯৩০ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত ৯টি বিশ্বকাপে ১২০ জন খেলোয়াড়কে পদক দেওয়া হয়। তাতে চোটের কারণে ১৯৬২ বিশ্বকাপে ফাইনাল না খেলা পেলেও পেয়ে যান তৃতীয় পদক।
ফ্রান্সের ১০ খেলোয়াড় যখন দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ ট্রফিতে চুমু খাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, তখন আর্জেন্টিনার দুজন দেখছেন ফাইনালে হারার দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন।
তাঁদের একজন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি, আরেকজন উইঙ্গার আনহেল দি মারিয়া। মারাকানায় জার্মানির বিপক্ষে সেই ফাইনালে মেসি খেললেও দি মারিয়া বাইরে বসেই দেখেছেন ম্যাচটা।