চেলসিতে আর মন বসছে না থিয়াগো সিলভার। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত চুক্তি থাকলেও এ বছরই তিনি স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ ছেড়ে যেতে চান। ফিরতে চান ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লুমিন্সেতে।
ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম গ্লোবো জানিয়েছে, সিলভার ফ্লুমিন্সেতে ফিরতে চাওয়ার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ আছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ব্রাজিল সতীর্থ মার্সেলোর ফ্লুমিন্সেতে ফিরে যাওয়া এবং ক্লাব প্রেসিডেন্ট মারিও বিতেনকোর্টের আগ্রহ।
যুক্তরাজ্যের দ্য মিরর বলছে, চেলসির বর্তমান মালিকপক্ষের ওপর অসন্তুষ্টিও একটি কারণ। গত বছর টড বোয়েলি চেলসি কিনে নেওয়ার পর নানা সিদ্ধান্তে নিজের ভিন্নমত জানিয়েছিলেন সিলভা।
সবকিছু মিলিয়ে চেলসিতে আর ভালো লাগছে না সাবেক ব্রাজিল অধিনায়কের। অথচ মাত্র তিন মাস আগেই ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছেন। ২০২০ সালে পিএসজি ছেড়ে চেলসিতে আসা সিলভার চুক্তির মেয়াদ জুন পর্যন্ত।
ফেব্রুয়ারিতে ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তিনি আরও এক বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করেন। ওই সময় চেলসির কোচ ছিলেন গ্রাহাম পটার। মাঠের ফুটবলে দুরবস্থার কারণে পরের মাসেই ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাঁকে বরখাস্ত করে। বর্তমানে চেলসির অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে কাজ করছেন ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। সামনের মৌসুমে ডাগআউটে কে আসবেন, তা এখনো অনিশ্চিত।
পারফরম্যান্স বিবেচনা করলে সামনের মৌসুমেও চেলসির প্রথম একাদশে নিয়মিত জায়গা পাওয়ার কথা সিলভার। ৩৮ বছর বয়সী এই সেন্টারব্যাক চলতি মৌসুমে চেলসির হয়ে ৩২ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন।
পটারের পর ল্যাম্পার্ডও তাঁকে রক্ষণভাগের ভরসা হিসেবে দেখছেন। কিন্তু মাঠের খেলায় চেলসির দিনকাল একদমই ভালো যাচ্ছে না। এই মুহূর্তে প্রিমিয়ার লিগে অবস্থান ১১ নম্বরে, চ্যাম্পিয়নস লিগে দৌড় শেষ হয়ে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে।
টড বোয়েলি মালিকানায় আসার পর প্রথম মৌসুমেই দুই কোচকে বরখাস্ত ও পরিকল্পনাহীন খেলোয়াড় কিনে যেভাবে অস্থিরতা তৈরি করেছেন, সামনের মৌসুমে সব ঠিক হয়ে যাওয়া নিয়ে আশ্বস্ত হওয়া যাচ্ছে না।
এমন পরিস্থিতিতে ফ্লুমিন্সেতে ফিরে যাওয়াই সঠিক মনে হচ্ছে সিলভার। এসি মিলান ও পিএসজির হয়ে খেলার আগে ২০০৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ব্রাজিলের ক্লাবটিতে খেলেছেন তিনি। গ্লোবোর প্রতিবেদনে বলা হয়, সিলভা চাইলেই চেলসি ছাড়তে পারবেন কি না, নিশ্চিত নয়। বিষয়টি নির্ভর করছে চেলসির ফুটবল পরিচালক ক্রিস্টোফার ভাইভেলের সঙ্গে সিলভার সমঝোতার ওপর।