আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে ধারে চেলসিতে খেলেছেন জোয়াও ফেলিক্স। ছয় মাস পর আতলেতিকো মাদ্রিদে ফিরে মনটা বেশ উড়ুউড়ু এই পর্তুগিজ তারকার। কারণটা আর কিছুই নয়, তিনি আর আতলেতিকোতে খেলতে চান না। কোথায় যেতে চান, সেটিও সোজাসাপটা জানিয়ে রেখেছেন। ফেলিক্স যেতে চান ক্যাম্প ন্যুর ক্লাব বার্সেলোনায়।
বার্সেলোনা ফেলিক্সের জন্য রীতিমতো স্বপ্নের ক্লাব। দলবদল বিষয়ে বিভিন্ন তথ্যের জন্য নির্ভরযোগ্য সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানো ‘এক্সক্লুসিভ’ লিখে এক টুইট করে জানিয়েছেন, ফেলিক্স বার্সেলোনায় যেতে চান। বার্সার জার্সিতে খেলতে পারাটা ফেলিক্সের জন্য স্বপ্ন পূরণের মতো ব্যাপার। বার্সেলোনা নাকি তাঁর প্রথম পছন্দের দল ছিল সব সময়ই।
ফেলিক্স রোমানোকে বলেছেন, ‘আমি বার্সেলোনায় খেলতে চাই। বার্সেলোনায় খেলাটা সব সময়ই আমার প্রথম পছন্দ ছিল। ছোটবেলা থেকেই বার্সেলোনায় খেলা আমার স্বপ্ন। যদি আমি খেলতে পারি, তাহলে সেটি হবে স্বপ্ন পূরণের মতো এক ব্যাপার।’ ফেলিক্সের এজেন্ট পিএসজির সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন বলে জানাচ্ছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। এখন তাঁর এজেন্ট বার্সেলোনার সঙ্গে কবে যোগাযোগ করবেন, সেটি জানা যায়নি।
বার্সেলোনা নতুন মৌসুমের জন্য তিনজন খেলোয়াড়কে সই করিয়েছে। ম্যানচেস্টার সিটি থেকে যোগ দিয়েছেন ইলকায় গুন্দোয়ান। ফ্রি এজেন্ট হিসেবে দলে ভেড়ানো হয়েছে তাঁকে। ফ্রি এজেন্ট হিসেবে আছেন ইনিগো মার্তিনেজ। ৪০ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফি খরচ করে আনা হয়েছে ব্রাজিলের ভিতর রকিকে। তবে রকি যোগ দেবেন ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে।
আতলেতিকো মাদ্রিদ ফেলিক্সের জন্য ১০ কোটি ইউরো দাম ধরেছে। তবে এই পরিমাণ অর্থ বার্সেলোনা ফেলিক্সের জন্য খরচ করতে পারবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। সেই সামর্থ্য বার্সেলোনার নেই। শুধু বার্সেলোনা কেন, এই পরিমাণ অর্থ ইউরোপের দলবদলের বাজারে অনেক ক্লাবই খরচ করতে অপারগ। এখানে অবশ্য একটি কথা থেকেই যায়। চেলসিতে গত ছয় মাস ফেলিক্সের খুব একটা ভালো কাটেনি। এই সময় তাঁর পা থেকে এসেছে মাত্র ৪টি গোল। কোনো অ্যাসিস্ট নেই। পর্তুগিজ তারকা যতই বার্সেলোনা যেতে চান, তাঁর বর্তমান ফর্মের বিচারে বার্সেলোনা বা পিএসজিতে যাওয়া ফেলিক্সের জন্য বেশ কঠিনই।
তবে ফেলিক্সের যাওয়ার সুযোগ আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের আরেক ক্লাব অ্যাস্টন ভিলাও নাকি তাঁকে নিতে বেশ আগ্রহী। গত মৌসুম থেকেই আতলেতিকো মাদ্রিদে গুরুত্ব হারিয়েছেন ফেলিক্স। কোচ ডিয়েগো সিমিওনের সঙ্গে ঝামেলা বাধিয়েই বিপাকে পড়েছেন।