শূন্য গোল, শূন্য অ্যাসিস্ট এবং লক্ষ্যে শটও শূন্য—প্যারিসে বার্সেলোনার বিপক্ষে কিলিয়ান এমবাপ্পের পারফরম্যান্স ছিল এমনই নিষ্প্রভ। বার্সার হয়ে উইং ধরে লামিনে ইয়ামাল-রাফিনিয়ারা যখন আগুন ঝরাচ্ছিলেন, পিএসজির এক প্রান্তে তখন ইতিউতি করেই পুরোটা সময় কাটিয়ে দিলেন এমবাপ্পে।
অথচ এই ম্যাচের আগে বার্সার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি ধরা হচ্ছিল এমবাপ্পেকেই। রিয়াল মাদ্রিদে সম্ভাব্য দলবদলের আগে বার্সাকে এ ফরোয়ার্ড কী বার্তা দেন, সেদিকেই চোখ ছিল সবার। কিন্তু এক কথায় প্যারিসে হতাশ করেছেন এমবাপ্পে। ডিফেন্স–ছেঁড়া পাস, বিদ্যুৎ–গতির দৌড় কিংবা বুলেট শটের কিছুই দেখা যায়নি।
এমবাপ্পের জ্বলে না ওঠার খেসারত দিতে হয়েছে পিএসজিকেও। ম্যাচটা তারা হেরেছে ৩-২ গোলে। এই ম্যাচ শেষে স্বাভাবিকভাবেই আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে এমবাপ্পে। এদিন এমবাপ্পে শরীরী ভাষাও মোটেই ইতিবাচক ছিল না।
সাম্প্রতিক সময়ে দলবদল নিয়ে কোচ লুইস এনরিকের সঙ্গে এমবাপ্পের দ্বন্দ্বের খবর সামনে আসে। লিগে বেশ কিছু ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিট খেলার সুযোগও পাননি এ ফরোয়ার্ড। এই বিরোধের জের এমবাপ্পের পারফরম্যান্সে পড়েছে কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমবাপ্পেকে সতীর্থরা যথেষ্ট পাস দেননি বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাঁর প্রান্ত দিয়ে পিএসজির খুব বেশি আক্রমণে না যাওয়া নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেছে কেউ কেউ।
ভিন্ন চিত্রও অবশ্য আছে। কারও কারও দাবি, এমবাপ্পে নিজেই খেলা নিয়ে মনোযোগী ছিলেন না। তবে কারণ যা–ই হোক, এমবাপ্পে জ্বলে উঠতে না পারার কারণে এখন বেশ চাপের মুখে আছে পিএসজি। ম্যাচ শেষে তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে জানতে চাইলে পিএসজি কোচ এনরিকে বলেছেন, ‘এই ফলের জন্য কোচ দায়ী। আমি আলাদাভাবে কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে কথা বলব না।’
প্যারিসে হতাশ করলেও এমবাপ্পের জন্য সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি। এ ধাক্কা সামলে বার্সেলোনায় ফিরতি লেগে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে তাঁর। এ ম্যাচের আগে এমবাপ্পে চাইলে ২০২১ সালে বার্সার বিপক্ষে পিএসজির ৪-১ গোলে জেতা ম্যাচ থেকেও অনুপ্রেরণা নিতে পারেন।
সেবার বার্সাকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পথে হ্যাটট্রিক করেছিলেন বিশ্বকাপজয়ী এ তারকা। এবার বার্সার মাঠে ফের এমবাপ্পের কাছ থেকে এমন আগুনে পারফরম্যান্সই দেখতে চাইবেন সবাই। এমন পারফরম্যান্স, যা দিয়ে তিনি পিএসজিকে সেমিতে নেওয়ার পাশাপাশি বার্সাকেও বিশেষ বার্তাও দিতে পারবেন!