বিশ্বকাপ ফাইনালের টাইব্রেকারে ফ্রান্সের ফুটবলারদের সঙ্গে ‘মনস্তাত্ত্বিক খেলা’ খেলেছিলেন আর্জেন্টিনার আলোচিত গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। সেটি খেলোয়াড়ি ভব্যতার সীমা ছাড়িয়েছিল বলে অভিযোগ অনেকের। বিশ্বকাপ ফাইনালের পর ছয় সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এ নিয়ে বিতর্ক থামছে না। সত্যিই কি মার্তিনেজ টাইব্রেকারের সময়সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন?
ফুটবলের আইন প্রণয়নকারী সংস্থা আইএফএবি এসব বিতর্কের জের ধরেই পেনাল্টি আইনে পরিবর্তন আনতে চাচ্ছে বলে জানিয়েছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মিডিয়া। আইএফএবি আগামী মার্চে লন্ডনে নিজেদের বার্ষিক সাধারণ সভায় পেনাল্টি আইন নতুন করে তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন আইনে খেলোয়াড়ি আচরণের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে আইনে এমন ধারা রাখা হবে, যাতে কেউই অখেলোয়াড়সুলভ ‘সুবিধা’ না নিতে পারেন। যার অর্থ, নতুন এই আইন মার্তিনেজের মতো গোলকিপারদের জন্য প্রতিকূলে যাবে।
ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য সান জানিয়েছে, নতুন আইনে পেনাল্টি শট ঠেকানোর সময় গোললাইনে দাঁড়িয়ে গোলকিপারের নাচানাচি কিংবা পেনাল্টি নেওয়া প্রতিপক্ষের দিকে তাকিয়ে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি নিষিদ্ধ হতে পারে।
বিশ্বকাপের ফাইনালে নানা অঙ্গভঙ্গি করে মার্তিনেজ ফরাসি ফুটবলারদের বিভ্রান্ত করেছিলেন। তিনি ফ্রান্সের হয়ে পেনাল্টি নিতে আসা খেলোয়াড়দের অপেক্ষায় রেখেছিলেন। এমনকি বল অন্য দিকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। মোটকথা, তাঁদের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য সম্ভব সবকিছুই করেছিলেন। তাঁর এই আচরণ কাজে এসেছিল। পেনাল্টি মিস করে বসেন অরিলিঁয়ে চুয়ামেনি ও কিংসলে কোমান। এর আগেও টাইব্রেকারের সময় প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিভিন্ন মনস্তাত্ত্বিক টক্করে যাওয়ার নজির আছে মার্তিনেজের। ২০২১ কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে তিনি কলম্বিয়ান ফুটবলারদের কথা দিয়ে বিভ্রান্ত করেছিলেন।