এক দিকে গোল করার আনন্দ, আরেক দিকে হজমের হতাশা
এক দিকে গোল করার আনন্দ, আরেক দিকে হজমের হতাশা

চ্যাম্পিয়নস লিগ

৯০ মিনিটে লক্ষ্যে শট নেই একটিও, হেরেই গেল দশজনের বায়ার্ন

লাৎসিও ১ : ০ বায়ার্ন মিউনিখ

বুন্দেসলিগায় শিরোপা-দৌড়ে বড় ধাক্কার পর সপ্তাহও পার হয়নি, এবার চ্যাম্পিয়নস লিগেও বড় বিপদে বায়ান মিউনিখ। ছয়বারের ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নরা আজ চলতি আসরের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে লাৎসিওর কাছে ১-০ ব্যবধানে হেরেছে।

যে হারের ম্যাচে ১৭টি শট নিলেও একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি হ্যারি কেইন, টমাস মুলার, লেরয় সানে, জামাল মুসিয়ালারা। চ্যাম্পিয়নস লিগের সবশেষ ১২ আসরে একবার ছাড়া প্রতিবারই শেষ ষোলোর গণ্ডি পার হয়েছে বায়ার্ন। এবারও কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করতে হলে জিততেই হবে পরের লেগে। 

অলিম্পিক স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে বায়ার্ন সবচেয়ে বড় ভোগান্তিতে পড়ে ৬৭ মিনিটে দায়ত উপামেকানো লাল কার্ড দেখলে। লাৎসিওর ইসাকসেনকে ফাউল করে উপামেকানো নিজেই মাঠ ছাড়েননি, লাৎসিওকে দিয়ে যান পেনাল্টিতে গোলের ‍সুযোগ। যা কাজে লাগিয়ে ইতালিয়ান ক্লাবটিকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন সিরো ইম্মোবিল।

লাৎসিওর আক্রমণ অবশ্য এটুকুতে সীমাবদ্ধ ছিল না। পুরো ম্যাচ মোট ১১টি শট নিয়ে ৪টি লক্ষ্যেও রাখে তারা। এর মধ্যে ৯০ মিনিটে কিম-মিন-জায়ে এন্দেরসনের শট প্রতিহত না করলে ব্যবধান ২-০ হতে পারত। 

তবে সেটি না হলেও বায়ার্নকে হারানোর খুশি নিয়েই মাঠ ছেড়েছে লাৎসিও। ২০০০ সালে ভ্যালেন্সিয়াকে হারানোর পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউটে জয় পেল ইতালিয়ান ক্লাবটি। আর ২০১১ সালে ইন্টার মিলানের পর এই প্রথম ইতালিয়ান ক্লাবের কাছে হারল বায়ার্ন।

যে হারে টমাস টুখেলের দল ফিরিয়ে এনেছে ২০১৫ সালকে, সে বারই সর্বশেষ কোনো ম্যাচে একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি বায়ার্ন মিউনিখ।

দুই দলের ফিরতি লেগ ৫ মার্চ।