ফিল ফোডেন আরও একবার।
ম্যাচের ৫৯ মিনিট, ফুলহামের বিপক্ষে ১-০ গোলে এগিয়ে ম্যানচেস্টার সিটি। তবুও স্বস্তি নেই পেপ গার্দিওলার চোখেমুখে। লিগ শিরোপা ধরে রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ বলে কথা! কিছুটা নির্ভার হতে আরেকটা গোল প্রয়োজন ছিল সিটির।
গার্দিওলার জন্য সেই স্বস্তি নিয়ে আসেন ফোডেন। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে ম্যাচের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম গোল করে দলের জয় অনেকটাই নিশ্চিত করেন।
ফোডেনের এই গোলটির বিশেষত্ব লিগে সর্বশেষ ১২ ম্যাচে এটি তাঁর ১২তম গোল। সব মিলিয়ে এটি চলতি মৌসুমে ২৫তম। সিটি পরে গোল পেয়েছে আরও দুটি। প্রথম গোলের মতো তৃতীয় গোলও এসেছে ডিফেন্ডার ইওস্কো গাভারদিওলের কাছ থেকে। আর চার নম্বর গোলটি পেনাল্টি থেকে করেন বদলি হিসেবে নামা হুলিয়ান আলভারেজ।
এপ্রিল মাস থেকে সিটির হয়ে ৫টি গোল করেছেন গাভারদিওল। এই সময়ে সিটির হয়ে তাঁর চেয়ে বেশি গোল করেছেন মাত্র দুজন-ফোডেন (৭) ও হলান্ড (৭)। বোঝাই যাচ্ছে গোল করার অভ্যাসটি ভালোই তৈরি করছেন ডিফেন্ডার গাভারদিওল। ৪-০ গোলের জয়ে সিটি এখন পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। ৩৬ ম্যাচে সিটির পয়েন্ট ৮৫। সমান ম্যাচে দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ৮৩।
ফুলহামের মাঠে ক্রেভেন কটেজে সিটির শীর্ষে ওঠার ম্যাচে শুরু থেকেই দাপট দেখিয়েছে গার্দিওলার দল। গাভারদিওল ম্যাচের প্রথম গোলটি করেন ১৩ মিনিটে। গোলটিতে সহায়তা কেভিন ডি ব্রুইনার। এটি এই মৌসুমে লিগে ডি ব্রুইনার নবম অ্যাসিস্ট।
প্রথমার্ধজুড়েই ম্যাচে দাপট দেখিয়েছেন ডি ব্রুইনা। তিনি একাই প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেন ৪টি, যা দুই দলে বাকি সবার তৈরি করা গোলের সুযোগের চেয়ে একটি বেশি। প্রথমার্ধে সিটির গোলমুখে কোনো শটই নিতে পারেনি ফুলহাম। যা লিগে ঘরের মাঠে গত ৮ মৌসুমে দ্বিতীয়বার।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৯ মিনিটে গোল করেই সিটির শীর্ষে ওঠা অনেকটা নিশ্চিত করেন ফোডেন। বের্নার্দো সিলভার সহায়তায় ডি বক্সে বল পেয়ে যান ফোডেন, ডান পায়ের শটে গোল করেন তিনি। পরের গোলটিতেও সহায়তা করেন সিলভা। তাঁর বাড়ানো বলে পা ছুঁইয়ে গোল করেন গাভারদিওল। যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে পেনাল্টি পায় সিটি। হ্যাটট্রিকের সামনে থাকা গাভারদিওল নন, শটটি নেন বদলি হিসেবে নামা আলভারেজ। তাঁর গোলে সিটির ব্যবধান হয় ৪-০।
সিটির অধিনায়ক কাইল ওয়াকার অবশ্য গাভারদিওলকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তিনি পেনাল্টি নিতে চান কি না। গাভারদিওল না বলাতেই পেনাল্টিটি নেন আলভারেজ। অথচ গাভারদিওল পেনাল্টি নিয়ে গোল করতে পারলেই হয়ে যেতেন ইতিহাস। প্রিমিয়ার লিগে হ্যাটট্রিক করা ডিফেন্ডার হতেন তিনি।