গোলের পর গ্যালারিতে থাকা সন্তানকে উৎসর্গ করে ডিউকের উদ্‌যাপন
গোলের পর গ্যালারিতে থাকা সন্তানকে উৎসর্গ করে ডিউকের উদ্‌যাপন

অস্ট্রেলিয়া ১: ০ তিউনিসিয়া

১২ বছর পর পাওয়া জয়ে বিশ্বকাপে টিকে রইল অস্ট্রেলিয়া

বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ফ্রান্সের বিপক্ষে এগিয়ে গিয়েও বড় হার দেখতে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য সে ভুল করেনি তারা। তিউনিসিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার আশা ভালোভাবেই বাঁচিয়ে রাখল তারা। তিউনিসিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েছে সকারুরা।

২০১০ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপে জয়ের দেখা পেল অস্ট্রেলিয়া। গত দুই বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেও কোনো ম্যাচ না জিতেই বিদায় নিতে হয়েছিল তাসমানপাড়ের দেশটিকে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিপদ বাড়ল তিউনিসিয়ার, যারা শেষ ম্যাচ খেলবে ফ্রান্সের বিপক্ষে।

আল জানুব স্টেডিয়ামে ব্যাপক সমর্থন নিয়েই ম্যাচ শুরু করে তিউনিসিয়া। তবে প্রথম দিকে অস্ট্রেলিয়ার আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে কিছুটা নিচে নেমে খেলতে হয় আফ্রিকার দেশটিকে।

এর আগে ফ্রান্সের বিপক্ষেও শুরুতে ভালো খেলে গোল আদায় করে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। আজও তিউনিসিয়ার ডি-বক্সের আশপাশে একের পর এক হুমকি তৈরি করে যাচ্ছিল তারা। তিউনিসিয়া চেষ্টা করে নিজেদের রক্ষণ সুরক্ষিত রেখে প্রতি-আক্রমণের সুযোগ তৈরির।

তিউনিসিয়ার গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জড়াচ্ছে জালে

প্রতিপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করলেও শুরুতে অস্ট্রেলিয়া নিশ্চিত কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না। তাদের আক্রমণগুলো প্রতিহত হচ্ছিল তিউনিসিয়ার রক্ষণে। তবু অবশ্য গোল পেতে বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি অস্ট্রেলিয়াকে।

ম্যাচের ২৩ মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। বাঁ প্রান্ত থেকে ক্রেইগ গুডউইনের ক্রস তিউনিসিয়ার এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে চলে আসে ডি-বক্সের দুই ডিফেন্ডারের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা মিচেল ডিউকের কাছে। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে মাথা ছুঁয়ে বলকে জালের ঠিকানা দেখিয়ে দেন ডিউক।

এগিয়ে গিয়েও অবশ্য কিছু সময় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখে অস্ট্রেলিয়া। আক্রমণাত্মক ফুটবলে তিউনিসিয়াকে চাপে রাখার চেষ্টা করে তারা। অন্যদিকে পিছিয়ে পড়া তিউনিসিয়া মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছিল ম্যাচে ফেরার। প্রথমার্ধের শেষ দিকে গিয়ে নিজেদের ছন্দও খুঁজে পায় কার্থেজ ঈগল–খ্যাত দলটি।

দুর্দান্ত এই জয়টা যেন অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়দের বিশ্বাসই হচ্ছে না

৩৮ মিনিটে ইউসেফ এমসাকনিকে ডি-বক্সের ভেতর আটকে দেন অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্ডার। ৪৪ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ান আক্রমণ ঠেকান তিউনিসিয়ার গোলরক্ষক আইমেন দাহমেন।

তবে যোগ করা সময়ে গোল করার সুবর্ণ এক সুযোগ নষ্ট করেন এমসাকনি। সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়ে গোল করতে ব্যর্থ হন এই ফরোয়ার্ড। শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে থাকার আক্ষেপ নিয়েই বিরতিতে যেতে হয় তিউনিসিয়াকে।

বিরতির পর গোলের খোঁজে মরিয়া হয়ে আক্রমণে যায় তিউনিসিয়া। অস্ট্রেলিয়াকে চাপে রেখে তারা চেষ্টা করে গোলের সুযোগ তৈরির। তিউনিসিয়ার আক্রমণাত্মক ফুটবলের বিপরীতে এ সময় অস্ট্রেলিয়ার চোখ ছিল প্রতি–আক্রমণে। তবে দুই দলই এ সময় নিশ্চিত সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হচ্ছিল।

আক্রমণে তিউনিসিয়া এগিয়ে থাকলেও প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ঢুকে সুযোগ কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে তাদের দুর্বলতা ছিল স্পষ্ট। ম্যাচের শেষ দিকেও অস্ট্রেলিয়া রক্ষণে বেশ চাপ সৃষ্টি করে তিউনিসিয়া। তবে মেলেনি কাঙ্ক্ষিত গোল।