বিশ্বকাপে মাঠে নামার আগেই চোটে পড়েছিলেন। কোচ দিদিয়ের দেশম স্কোয়াডে তাঁর জায়গাটা ফাঁকাই রেখেছিলেন। মনে করা হয়েছিল, বেনজেমা চোট থেকে ফিরে বিশ্বকাপের শেষাংশে খেলবেন। তিনি চোট কাটিয়েও উঠেছিলেন ফাইনালের আগে। খেলার সুযোগও ছিল কিন্তু আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ফাইনালে তাঁকে খেলাননি কোচ দেশম। সেই অভিমান থেকেই বিশ্বকাপ ফাইনালের পরদিনই অবসর নিয়ে ফেলেছেন আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে। কিন্তু বিতর্ক থামছে না কিছুতেই।
কেন করিম বেনজেমা বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি, সেই আলোচনা আরও জমিয়েই তুলেছেন বেনজেমার এজেন্ট করিম যাজিরি। টুইটার বার্তায় তিনি দাবি করেছেন, তিনজন বিশেষজ্ঞকে বেনজেমার রিপোর্ট দেখানোর পর তারাই জানিয়েছিলেন, নক আউট পর্ব থেকেই খেলতে পারতেন বেনজেমা।
তবে ঠিক কী কারণে বেনজেমাকে আগেভাগে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেটা অবশ্য স্পষ্ট নয়। তবে দিদিয়ের দেশমের সঙ্গে বেনজেমার দূরত্ব যে কতটা, এরই মধ্যে তা পরিষ্কার হয়ে গেছে।
বিষয়টিকে যেন আরও স্পষ্ট তুললেন বেনজেমার এজেন্ট। টুইটারে তিনি বলেছেন, ‘তিনজন বিশেষজ্ঞকে বেনজেমার রিপোর্ট দেখিয়েছি। তাঁরা নিশ্চিত করেছেন যে শেষ ষোলোর লড়াই থেকেই ফিরতে পারত বেনজেমা। কেন এত দ্রুত তাকে বিশ্বকাপ থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হলো?’
ইউরোপের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমগুলোও দাবি করেছিল, বিশ্বকাপ চলাকালীন চোট কাটিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন বেনজেমা। শুরু করেন অনুশীলন। বিশ্বকাপে ফেরার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল। তিনি খেলতেই পারতেন কারণ, ফ্রান্সের বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে তাঁর নাম কাটা পড়েনি। নিবন্ধিত ছিলেন। ফাইনালের আগে এই গুঞ্জন আরও জোরালো হয়। কিন্তু কোচ দিদিয়ের দেশম তাঁকে খেলাননি।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ বেনজেমাকে ফাইনাল দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট যে বিমানে দোহায় যাবেন, সেই বিমানেই তাঁকে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু বেনজেমা সে প্রস্তাব গ্রহণ করেননি। ‘না’ করে দেন। ফাইনালের আগে শুক্রবার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বেনজেমা জানিয়েও দেন সে কথা, ‘আমি আগ্রহী নই।’
ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি আপাতত শেষ দেশমের। কিলিয়ান এমবাপ্পেদের সঙ্গে নতুন চুক্তি করবেন কি না দেশম, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। গুঞ্জন আছে যে ফ্রান্সের কোচ হতে চান জিনেদিন জিদান। আর রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এই কোচ, ফ্রান্সের দায়িত্ব নিলে নাকি আবারও ফরাসিদের জার্সি গায়ে জড়াবেন বেনজেমা, এমন একটা কথা শোনাও যাচ্ছে।