শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে মাটিতেই নামিয়েছে ভুটান দল
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে মাটিতেই নামিয়েছে ভুটান দল

ভুটানের কাছে হেরে গেল বাংলাদেশ

বৃহস্পতিবার ভুটানের বিপক্ষে প্রথম আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে কোনোমতে উতরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ষষ্ঠ মিনিটে শেখ মোরছালিন ভাগ্যক্রমে গোল পেয়ে যাওয়ার পর খুব ভালো না খেলেও ম্যাচটা জিতেছিল হাভিয়ের কাবরেরার দল। কিন্তু আজ দ্বিতীয় ম্যাচে ভুটানের কাছে হেরেই গেল বাংলাদেশ। থিম্পুতে ম্যাচের ৯১তম মিনিটে কিংগা ওয়াংচুকের গোলে বাংলাদেশকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ভুটান। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে এটি ভুটানের কাছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় হার, আগেরটি ২০১৬ সালে, থিম্পুতেই।

এলোমেলো খেলা, নিষ্প্রাণ ফুটবল আর গোলের সুযোগ তৈরি করতে না পারার ব্যর্থতায় ভুটানের মাটিতে দ্বিতীয় হারটি দেখেছে বাংলাদেশ। চোটের কারণে রাকিব হোসেন আর বিশ্বনাথ ঘোষ আজ খেলতে পারেননি। তাঁদের বদলে যাঁরা নেমেছিলেন, তাঁরা কেউই নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি।

আক্রমণভাগে রাকিবের অভাব অনুভূত হয়েছে সবচেয়ে বেশি। রক্ষণভাগ মোটামুটি সামাল দিলেও শেষ দিকে আর সেটি পারা যায়নি। দাওয়া শেরিংয়ের ফ্রি কিক বক্সে উড়ে এলে সেটি বিপদমুক্ত করতে পারেননি কেউই। বাতাসে বল ভেসেই সেটি চলে যায় ফাঁকায় দাঁড়ানো কিংগা ওয়াংচুকের কাছে। সহজেই বল জালে জড়ান তিনি। ম্যাচে আরও বার দু-এক গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল ভুটান, কিন্তু বাংলাদেশের রক্ষণের দৃঢ়তায় সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভুটানের জয়সূচক গোলটির পেছনে দায় রক্ষণেরই।

মধ্যমাঠে দুই সোহেল রানা (১৭ ও ১৬ নম্বর জার্সি) সৃষ্টিশীল হতে পারেননি

রাকিবের জায়গায় শাহরিয়ার ইমন আর বিশ্বনাথের জায়গায় ছিলেন ঈসা ফয়সাল। তবে প্রথম ম্যাচের তুলনায় বল ধরে নিচ থেকে বিল্ডআপ ফুটবল খেলার প্রবণতা বেশি দেখিয়েছে বাংলাদেশ দল। কিন্তু মধ্যমাঠে সৃষ্টিশীল ফুটবলের অভাবে আক্রমণগুলো সুযোগে পরিণত হয়নি। মধ্যমাঠে ছিলেন দুজন সোহেল রানা। এক সোহেল রানার কাছ থেকেও গোটা ম্যাচে কোনো ভালো পাসও সামনে যায়নি।

ফয়সাল আহমেদ ফাহিম এলোমেলো দৌড়াদৌড়ি করেছেন বটে, কিন্তু কাজের কাজ কিছু করতে পারেননি। শেখ মোরছালিনকে নিষ্প্রভই দেখা গেছে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ভুটানি গোলকিপারকে প্রায় একা পেয়েও গোল করতে পারেননি শাহরিয়ার ইমন। শেষ মুহূর্তে ভুটানি ডিফেন্ডার কর্নারের বিনিময়ে গোল রক্ষা করেন।

পুরো ম্যাচেই বাংলাদেশের খেলা ছিল এলোমেলো

দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন এনেছিলেন বাংলাদেশ কোচ। শাহরিয়ার ইমনের জায়গায় অভিষেক হয় অনূর্ধ্ব-২০ সাফ জয়ী দলের মিরাজুল ইসলামের। ফয়সাল ফাহিমের জায়গায় মাঠে নামেন রাব্বি হোসেন রাহুল। এ ছাড়াও ঈসা ফয়সালকে তুলে মাঠে নামানো হয় মজিবর রহমান জনিকে। শেষের দিকে নামেন জামাল ভূঁইয়াও। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের খেলা ছিল আরও বেশি এলোমেলো। এই অর্ধেও গোল হওয়ার মতো ভালো কোনো আক্রমণই দেখা যায়নি। ভুটান দ্বিতীয়ার্ধে ছিল অনেক বেশি আক্রমণাত্মক। বাংলাদেশি ফুটবলারদের পা থেকে বল কেড়ে তারা আক্রমণে গেছে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা ঠিকই বের করে নিয়েছে তারা।