‘ধন্যবাদ।’
কথাটা পল ব্রাইটনারের। জার্মানির সাবেক এই লেফটব্যাককে অচেনা লাগতে পারে কারও কারও। ১৯৭১ থেকে ১৯৮২ পর্যন্ত তৎকালীন পশ্চিম জার্মানির হয়ে খেলা ব্রাইটনারকে তাঁর সময়ের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১৯৭৪ বিশ্বকাপজয়ী এবং ফাইনালে গোল করা ব্রাইটনার ২০০৪ সালে ফিফার ১২৫ জন সর্বকালের সেরা জীবিত ফুটবলারের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে বুন্দেসলিগা ও ইউরোপিয়ান কাপ জয়ের পাশাপাশি রিয়াল মাদ্রিদে লা লিগাও জিতেছেন ব্রাইটনার।
জার্মানির এই কিংবদন্তি ‘ধন্যবাদ’টা জানিয়েছেন সৌদি আরবকে। কেন? নেইমারকে যে ইউরোপ থেকে নিয়ে গেছে—সেই জন্য। আরেকটু খোলাসা করা যায়। নেইমারকে কিনে ইউরোপ থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য সৌদি ফুটবলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ৭১ বছর বয়সী ব্রাইটনার। কারণ? ব্রাইটনারের মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ‘নেইমার এই বিশ্বের অন্যতম ভুয়া ফুটবলার।’
জার্মানির টিভি অনুষ্ঠান ‘ব্লিকপাঙ্ক স্পোর্ট’–এ গতকাল এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন ব্রাইটনার, ‘সৌদিদের ধন্যবাদ জনাব নেইমারকে কেনার জন্য, যে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বিশ্বের অন্যতম ভুয়া ফুটবলার। হ্যাঁ সে বড় মাপের খেলোয়াড় কিন্তু সব সময় নাটকই করে গেল। তাকে যে আর সহ্য করতে হবে না, সে কারণে আপনাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’
পিএসজি ছেড়ে দুই বছরের চুক্তিতে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল হিলালে যোগ দিয়েছেন নেইমার। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ৯ কোটি ইউরোয় নেইমারকে কিনেছে আল হিলাল। এর সঙ্গে ‘অ্যাড অনস’ হিসেবে কিছু শর্ত থাকায় টাকার অঙ্কটা আরেকটু বাড়বে। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, আল হিলালে বছরে ১০ কোটি ইউরো পারিশ্রমিক পাবেন নেইমার। গত সপ্তাহে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের খেলোয়াড় হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয় আল হিলাল।
তবে আল হিলালে নেইমার কবে অভিষিক্ত হবেন, সেটি এখনো অজানা। পরশু আল হিলালের পর্তুগিজ কোচ জর্জ জেসুস জানান, ব্রাজিল তারকা চোটে ভুগছেন, ‘সে ছোটখাটো চোট নিয়ে এসেছে। তাই এখনো দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিতে পারেনি। কবে খেলতে পারবে, সেটা আমি ঠিক জানি না।’ পর্তুগালের সংবাদমাধ্যম ‘রেকর্ড’ দাবি করেছে, আল হিলালে নেইমারের অভিষেক হতে অন্তত এক মাস সময় লেগে যেতে পারে।
আল হিলালে নেইমারের স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন দেখেছে এই সংবাদমাধ্যম। ডান ঊরুতে দুটি চোট নিয়ে সৌদি ক্লাবটিতে যোগ দিয়েছেন নেইমার—এমন দাবি করেছে ‘রেকর্ড।’ ডান ঊরুর ‘ফেমোরাল’ মাংসপেশিতে নেইমারের দুটি চোটের মধ্যে একটি অপেক্ষাকৃত হালকা চোট। সেটি চলতি সপ্তাহের মধ্যে ঠিক হয়ে যেতে পারে। অন্য চোটটি গুরুতর। সেটি সারতে প্রায় চার সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। আগামী সপ্তাহে আবারও এমআরআই করাবেন নেইমার।