রেফারির সিদ্ধান্তে খুশি নয় ডর্টমুন্ডের ফুটবলাররা
রেফারির সিদ্ধান্তে খুশি নয় ডর্টমুন্ডের ফুটবলাররা

চেলসির দুবার পেনাল্টি মারা যখন ‘তামাশা’

এক সিদ্ধান্তেই বদলে গেলে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের ভাগ্য। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১১ ম্যাচ জিতে ছন্দে থাকা ডর্টমুন্ড ধুঁকতে থাকা চেলসির কাছে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নিয়েছে কাল রাতে। স্বাভাবিকভাবেই তাই ম্যাচে রেফারির পুনরায় পেনাল্টি নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়া পছন্দ হয়নি ডর্টমুন্ডের ফুটবলারদের। জুড বেলিংহাম তো বলেই দিয়েছেন, রেফারির এই সিদ্ধান্ত একটা ‘তামাশা’।

ম্যাচে তখন চেলসি ১-০ গোলে এগিয়ে। তবে দুই লেগ মিলিয়ে লড়াইটা ছিল সমান। অর্থাৎ, দুই লেগ মিলিয়ে চেলসি-ডর্টমুন্ড ১-১ গোলের সমতায়। এমন পরিস্থিতিতে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পেনাল্টি পায় চেলসি। বেন চিলওয়েলের শট বক্সের ভেতর মারিয়ুস উলফের হাতে লাগলে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেন ডাচ রেফারি ড্যানি ম্যাকিলি।

রেফারির পেনাল্টি দেওয়ার এ সিদ্ধান্তই মানতে পারেননি ডর্টমুন্ডের ফুটবলাররা। তবে প্রথমবার শট নিতে গিয়ে গোলরক্ষককে বোকা বানালেও বল পোস্টে মারেন কাই হাভার্টজ। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে ডর্টমুন্ড। কিন্তু এখানেই শেষ নয়! বিপত্তিটা বাধে এরপর।

রেফারির সিদ্ধান্তকে ‘তামাশা’ বলছেন বেলিংহাম

পেনাল্টি শট নেওয়ার আগে ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড়ের বক্সের ভেতরে ঢোকায় আবার পেনাল্টি শট মারার সুযোগ পায় চেলসি। এবারও আগের মতো গোলরক্ষককে উল্টো দিকে পাঠিয়ে একই জায়গায় শট নেন হাভার্টজ। তবে এবার আর পোস্টে লাগেনি। ডান দিকের পোস্ট ঘেঁষে বল জালে জড়ান হাভার্টজ।

পেনাল্টি দেওয়ার সিদ্ধান্তটাই যেখানে মানতে পারেননি, সেখানে পুনরায় পেনাল্টি দেওয়ার সিদ্ধান্তইবা ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড়েরা মানবেন কীভাবে! তাই ম্যাচ শেষে ডর্টমুন্ড তারকা বেলিংহাম ক্ষোভ ঝেড়েছেন, ‘জানি না, তখন উলফ হাত নিয়ে আর কী করতে পারত। এই সিদ্ধান্তটাই ছিল হতাশাজনক। এরপর পুনরায় পেনাল্টি দেওয়ার সিদ্ধান্ত তো রীতিমতো তামাশা।’

কেন রেফারির সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল না, সেই কারণও বলেছেন বেলিংহাম, ‘প্রতিটা পেনাল্টিতেই, বিশেষ করে ধীরগতির রানআপে নেওয়া পেনাল্টির বেলায় কেউ না কেউ বক্সের ভেতরে ঢুকবেই। কিন্তু সে এই সিদ্ধান্ত দিয়েছে, আর আমাদের তা সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে।’