আগের দিন চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের ড্র নিয়ে সবার আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। সে তুলনায় ইউরোপা লিগের ড্র নিয়ে আগ্রহ ছিল সামান্যই। ইউরোপের শীর্ষ দল বলতে কেবল লিভারপুলই ছিল এ ড্রয়ে। এ ছাড়া পরিচিত দলগুলোর মধ্যে ওয়েস্ট হাম, আয়াক্স, মার্শেই, ব্রাইটন, ভিয়ারিয়াল এবং বেয়ার লেভারকুসেনের মতো মাঝারি শক্তির দলগুলোও খেলতে যাচ্ছে এবারের ইউরোপা লিগে।
ইউরোপীয় ফুটবলের অন্যতম পরাশক্তি লিভারপুল বেশ সহজ গ্রুপে পড়েছে। ‘অল রেড’দের গ্রুপে আছে এলএএসকে, ইউনিয়ন সেন্ট গিলোইসে এবং তুলুজ। এই গ্রুপে লিভারপুলকে হারাতে হলে বাকি দলগুলোকে রীতিমতো অঘটনই ঘটাতে হবে।
ড্রয়ের পর যে গ্রুপটি সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী বিবেচনা হচ্ছে করা সেটি হলো গ্রুপ ‘বি’। এই গ্রুপের চার দলের একটি গত মৌসুমে দারুণ খেলা ব্রাইটন, আছে নেদারল্যান্ডসের সফলতম ক্লাব আয়াক্স, ফরাসি পরশক্তি অলিম্পক মার্শেই। গ্রুপের অন্য দলটি গ্রিসের এইকে এথেন্স।
ইউরোপা লিগ সব সময় চমকের জন্ম দেয়। এবারও অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে থাকা দল আলো ছড়িয়ে বাকিদের তাক লাগিয়ে দিতে পারে। আর শীর্ষ সারির দলের জন্যও এখানে সাফল্য নিশ্চিত নয়। আগের দুবার ব্যর্থতা নিয়ে ফিরতে হয়েছিল বার্সেলোনার মতো পরাশক্তিকে। এমনকি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও গত বছরের ইউরোপা লিগে ফাইনালের আগে বাদ পড়েছিল। সব মিলিয়ে ইউরোপা লিগের লড়াই কখনোই একতরফা নয়। এবারও ফুটবলপ্রেমীরা সে রকম আশা করতে পারেন।
গ্রুপ ‘এ’: ওয়েস্ট হাম, অলিম্পিয়াকোস, ফেইবুর্গ, বাকা তোপোলা
গ্রুপ ‘বি’: আয়াক্স, মার্শেই, ব্রাইটন, এইকে এথেন্স
গ্রুপ ‘সি’: রেঞ্জার্স, রিয়াল বেতিস, স্পার্তা প্রাগ, আরিস লিমাসল
গ্রুপ ‘ডি’: আতালান্তা, স্পোর্তিং লিসবন, স্ট্রুম গ্রাজ, রাকো
গ্রুপ ‘ই’: লিভারপুল, এলইএসকে, ইউনিয়ন সেন্ট গিলোইসে, তুলুজ
গ্রুপ ‘এফ’: ভিয়ারিয়াল, রেনে, ম্যাকাবি হাইফা, প্যানাথিনাইকোস
গ্রুপ ‘জি’: এএস রোমা, স্লাভিয়া প্রাহা, শেরিফ, সেরভেতে
গ্রুপ ‘এইচ’: লেভারকুসেন, কারাবাখ, মোলডে, হাকেন